বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আগামী বছর থেকে রাজধানীতে যাতে জলজট তৈরি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে রাজধানীকে শতভাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থার আওতায় আনার ঘোষণা দেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তাকসিম এ খান।
তাকসিম এ খান বলেন, আমাদের যে সিস্টেম ছিলো তাতে আমরা পানি ততটা টেনে বের করতে পারিনি। তবে ঢাকাকে এ জলজট মুক্ত করতে পাম্পিং বাড়ানো হচ্ছে। অর্থাৎ, এ সমস্যা সমাধানে আমরা মাস্টার প্লান করছি।
এর আগে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন অভিযোগ করেছেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেমের (পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা) কারণে ঢাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর এর দায়-দায়িত্ব ওয়াসাকেই নিতে হবে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাকসিম এ খান।
গত বুধবার ছয় ঘণ্টায় ৫৬ থেকে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিতে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে নেমেছিলেন মেয়র সাঈদ খোকন। সেই সময় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে মেয়র বলেছিলেন- মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া ড্রেনেজ সিস্টেম গড়ে তোলার কারণে চলমান জলাবদ্ধতার দায়দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসাকেই নিতে হবে।
মেয়রের এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ নাকচ করে দেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আমি উইথ ডিউ রেসপেক্ট টু দ্য মেয়র, আমি উনার কথার সঙ্গে তো একমত না। উনি বলেছেন সম্পূর্ণ দায়িত্ব ওয়াসার। আমরা সবসময় বলে আসছি সাত হাতে। এটা এককথার একটা ফ্ল্যাট আনসার। ম্যান্ডেটই যদি ঢাকা ওয়াসার হয় একমাত্র। তাহলে আপনি কী করে ৫০০ কোটি টাকার ড্রেনেজের কাজ করলেন? কোন ম্যান্ডেটের বলে করলেন? তাহলে তো আপনার বক্তব্যই স্ববিরোধী হয়ে গেল না?’
দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে কাজ করার কারণে ওয়াসার ব্যাপারে বিরূপ ধারণা জন্মেছে জলাবদ্ধতার শিকার ভুক্তভোগী নাগরিকদের মধ্যে। তবে ওয়াসার নিজেদের সম্পর্কে রয়েছে বেশ উচ্চ ধারণা।
তাকসিম এ খান আরো বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা ইজ ওয়ান অব দ্য ভেরি সাকসেসফুল ওয়াটার ইউটিলিটি নট অনলি ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশে তো আর তুলনা করার কিছু নাই।আমরা নিজেরাই আমাদের নিজেদের তুলনা (করতে পারি না), দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রত্যেকের তুলনায় বেঞ্চ মার্কিংয়ে, সূচকে আমরা ভালোভাবে এগিয়ে।’ আমাদের সময়.কম