সুদানে টানা ৪ দিন ধরে চলছে সেনা-আধা সেনা সংঘর্ষ। সামরিক বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোসের্র (আরএসএফ) এ ক্ষমতা দখলের দ্বন্দ্বে দেশজুড়েই এখন শুধু গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ। দাউদাউ করে পুড়ছে বাড়িঘর, দোকানপাট, এমনকি বিমানও।
লো ঘিরে হামলা-পালটা হামলা চালাচ্ছিল দুপক্ষই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫। আহত ১৮০০। চিকিৎসকেদের একাংশের দাবি, হতাহতের সংখ্যা সরকারি হিসাব ছাড়িয়েও আরও অনেক বেশি। আতঙ্কে ঘরের বাইর পা ফেলতে ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ২৫ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী। আলজাজিরা, বিবিসি, সিএনএন।
আল আরাবিয়া ও আলজাজিরা স্যাটেলাইট চ্যানেল জানায়, লে. জেনারেল শামস এল দিন আব্বাসি সামরিক কমান্ডের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতিকে সম্মান করবে।’ সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ বুরহানের বরাত দিয়ে সিএনএন অ্যারাবিক জানায়, ‘সেনাবাহিনী একদিনের যুদ্ধবিরতির অংশ হবে।’
আগের দিন আরএসএফ জানায়, তারা তারা ২৪ ঘণ্টা মানবিক যুদ্ধবিরতির অংশ হবে। যদিও সামরিক কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেননি।
আগের দিন সোমবার খার্তুমের মার্কিন দূতাবাসের একটি বহর ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আরএসএফ বাহিনী এই আক্রমণ চালিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তরের বিবৃতি থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়। যদিও সব সদস্য নিরাপদে আছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার একাধিক টুইট বার্তায় দাগালো জানায়, তিনি ব্লিংকেনের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান মঙ্গলবার ভোরে খার্তুমে প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে রওয়ানা দেয়।
সেনাবাহিনী ও আরএসএফ’র মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় শনিবার। প্রথমে এই সংঘর্ষ রাজধানীতে শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ্যে এনেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে সুদানের খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ইউক্রেনের বিমান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আরএসএফ’র দাবি, তারা ইতোমধ্যেই প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের বাসভবন, জাতীয় টেলিভিশন সম্প্রচার সংস্থার দপ্তর ও খাতুর্মের বিমানবন্দর দখলে নিয়েছে। সুদানের সেনাবাহিনী তাদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে।