শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > যে সকল পাপের কারণে মানুষ ইহকাল এবং পরকালে শাস্তির উপযোগী হয়ে যায়

যে সকল পাপের কারণে মানুষ ইহকাল এবং পরকালে শাস্তির উপযোগী হয়ে যায়

শেয়ার করুন

মাওলানা এমএ করিম ইবনে মছব্বির ॥
পাপ এবং পূন্যে দুটি পথ,আল্লাহ এবং রাসুল (সা 🙂 এর নির্দেশিত পথ অনুকরণ করলে ইহকাল এবং পরকালে সুখ ও শান্তি। বিপরীত পথ অনুসরণ করলে ইহকাল এবং পরকালে দুর্ভোগ ও শাস্তি। নি¤েœ বর্ণিত পাপ সমুহ মানব জাতিকে ইহকাল এবং পরকালে দুর্ভোগ এবং কঠিন শাস্তির উপযোগী করে তোলে ।

১) শির্ক :- কোন বস্তুকে আল্লাহর জাত এবং ছিফাতের সাথে শরীক করাকে শির্ক বলে। শির্ককারীকে আল্লাহ পাক কখনো ক্ষমা
করেন না। মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তাঁর সাথে শির্ক করার গুনাহকে ক্ষমা করেন না, এ ছাড়া অন্য কোন গুনাহের ব্যপারে তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করতে পারেন। (সুরা নিসা ৪৮)
২) মানব হত্যা :- হত্যাকান্ড ইসলামের পরিপন্থি একটা বিকৃত সিদ্ধান্ত। যে ব্যক্তি কোন মানুষকে হত্যা করে সে যেন গোটা
জাতিকে হত্যা করল। (সুরা মাইদাহ ৩২) রসুল (সা 🙂 বলেন, মুসলমানকে গালিগালাজ করা ফাসেকের কাজ, এবং হত্যা করা কুফুরী কাজ। (বুখরী ৪৬০১)
৩) আত্মহত্যা :- পৃথিবীর সাময়ীক গ্লানি কষ্ট থেকে বাচাঁর জন্য আত্মহনন কারীর ঠিকানা পরকালে জাহান্নাম। এ প্রসংগে আল্লাহ বলেন, তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। (সুরা নিসা ২৯)
৪) মাতা-পিতা :- মহান রব্বুল আলামিন আল্লাহর পরে এই নশ্বর পৃথিবীতে যাদের স্থান তারা হলেন মাতা-পিতা, মাতা-পিতার
স্থান যেন বদ্ধৃ াশ্রমের কোনায় না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, মাতা-পিতার স্থান হোক সকল মানুষের আশ্রমে, এই প্রসংগে
আল্লাহ বলেন, আর তাঁরা যেন তাঁদের পিতা-মাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করে। (বনী ইসরাইল ২৩)
৫) মুনাফিক, চোগলখোর, গীবত, পরশ্রীকাতরতা ও হিংসা বিদে¦ষ- এ প্রসংগে আল্লাহ পাক বলেন, ইন্নাল মুনাফিকিনা ফিদারকিল
আসফালি মিনান্নার(নিশ্চই মুনাফিকের ঠিকানা হবে দোযখের সর্বনিন্ম স্তরে। চোগলখোর, গীবতকারী সম্পর্কে রাসুল (সা : ) বলেন যে, আমি মেরাজে যাওয়ার পর অধিক সংখ্যক দোযখের অধিবাসী দেখলাম যে, গীবত, চোগলখুরী এবং হিংসা পোষনের
কারণে ওরা দোযখে পঁচা মাংশ, পঁচা রক্ত, পঁচা পূজ ভক্ষন করিতেছে।
৬) এতিমের সম্পদ :- এতিমদের সম্পদ ভোগ করো না। এ প্রসংগে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে
ভোগ করিবে, তাহারা যেন নিজের পেটে অগ্নি ছাড়া আর কিছুই ভরিতেছে না, এবং শিঘ্রই তাহারা জলন্ত আগুনে প্রবেশ করিবে। (সুরা নিসা ২)
৭) যাদু টোনা :- যাদু বিদ্যাতে সম্পৃক্ত হলে মানব জাতি কুফুরী গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ বলেন, শয়তানরা
যাদুমন্ত্রের কথায় ও কাজে কুফুরীতে সম্পৃক্ত ছিল, এমন সব যাদু বিদ্যা যাহার দ্বারা বিচ্ছেদ ঘটতো স্বামী-মÍ্রীর মাঝে। (সুরা বাকারা ১০২)
৮) বেগানা রমণীকে মিথ্যা অপবাদ দেয়া :- রসুল (সা : ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কোন বেগানা মহিলার উপর মিথ্যা অপবাদ
দেয়, তা হলে অপবাদ দানকারী ব্যক্তিকে মিথ্যা অপবাদের যেই শাস্তি বেত্রাঘাত অপবাদ দানকারীর উপর সেই শাস্তি রহিত করণ করেন। (বুখারী শরীফ)
৯) সুদ :- হে মুমিনগন আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যাহা বকেয়া রয়েছে তাহা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে
থাক। (সুরা বাকারা ২৭৮) রাসুল (সা : ) বলেন, সুদ দাতা এবং সুদ গ্রহীতা উভয়ের ঠিকানা জাহান্নাম।
১০) যুদ্ধ রনাঙ্গন থেকে পলায়ন না করা :- এ প্রসংগে মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগন যখন তোমরা কাফেরদের সহিদ যুদ্ধে লিপ্ত হবে, তখন পলায়ন কর না। যুদ্ধ ময়দান থেকে যে পলায়ন করবে, সে আল্লাহর গজবে পতিত হইবে এবং তাহার ঠিকানা জাহান্নাম। (সুরা আনফাল ১৫)