স্টাফ রিপোর্টার ॥
যাত্রাবাড়ীতে নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালতের আদেশ হাতে পেলেই গ্রেফতারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির সময় যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসে পেট্রোল বোমার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২২ জন দগ্ধ হয়। এঘটনার পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়াসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এবিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। তবে তার বাড়ি যে থানাধীন সেখানেই গ্রেফতারি পরোয়ানা যাবে। তারা আসামিকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করবেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের বিষয়ে গুলশানের ওসি সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, আদালতের আদেশের পাশাপাশি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামী ২৭ এপ্রিল এই ২২ জনের গ্রেফতারি পরোয়ানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেছে আদালত। খালেদাসহ এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন; বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ।
বিশেষ সহকারী শামসুল ইসলাম শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কাইয়ূম কমিশনার, লতিফ কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের নেতা সেলিম ভূঁইয়া।