শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > যেসব ছেলেদের থেকে দূরে থাকা উচিৎ

যেসব ছেলেদের থেকে দূরে থাকা উচিৎ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সব ছেলের কথা বলছিনা, এখানে ১০ ধরনের ছেলের কথা বলব, যাদের কাছ থেকে মেয়েদের পারত পক্ষে দূরে থাকাই শ্রেয়। মেয়েরা, আপনাদের বলছি, আপনি কি নতুন সম্পর্কের কথা চিন্তা করছেন, প্রেম বা বিয়ে, আপনাকে অবশ্যই ভেবে চিন্তে সঙ্গী ঠিক করতে হবে। তা না হলে মাঝ পথে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন। চলুন দেখা যাক কে সেই ছেলেগুলো-

১. আপনার পছন্দের ছেলের এই মহুর্তে কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক নাই। যদিও পূর্বে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার সময় বিভিন্ন জিনিস লুকানোর চেষ্টা করবে। পুরোনো প্রেম হারিয়ে ছেলেটিকে খুবই অসহায় মনে হবে এবং আপনার উপর পুরোপুরি নির্ভর করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সে আপনাকে খুবই ভালবেসে ফেলেছে।

০২. নিজেকে স্বাধীন হিসেবে ভাবতে শিখুন। জড় বস্তু হিসেবে নয়। মেয়েরা যে শুধু ধনী ছেলেকে সঙ্গী হিসেবে চায়, তা নয়। তবে কিছু টাকা পয়সা থাকার দরকার আছে বৈ কি। অনেক ছেলে যারা মনে করে তার নিজের একটা মর্যাদা আছে, সুযোগ পেলে কিছু একটা করা যাবে। এটা ভাল দিক। অন্তত মর্যাদাবোধ যাদের মধ্যে নাই, তাদের সঙ্গ ছেড়ে এখনই পালান।

০৩. ‘তুমি ভাল, তবে সে খুব ভাল ছিল’- এই ধরনের কথা যে মেয়েরা এখনও শুনছেন, কিন্তু তার সঙ্গেই আছেন, দেয়ালে মাথা ঠুকুন এবং ছেলেকে বলুন সে যেন আগের সঙ্গীর কাছে চলে যায়। এই ধরনের কথা আপনার বর্তমান সম্পর্ককে কখনই ভাল করবেনা। তাকে বোঝান যে চলে গেছে তাকে ভেবে লাভ নেই। তাতেও কাজ না হলে আপনিই চলে যান।

০৪. ছেলেদের মধ্যে একধরনের প্রবণতা দেখা যায় আগের সঙ্গীর স্মৃতিকে মনের মধ্যে, বুকের মধ্যে লালন করে চলে। কিন্তু এটা আপনাকে উত্তেজিত করা ছাড়া আর কোন ভাবে সাহায্য করতে পারবে না। তাই ছেলেদের বলছি, নতুন সম্পর্কের দিকে মনোযোগ দিন। দূরে গাছে দুইটি পাখির থেকে হাতের একটি পাখি সবসময়ই ভাল।

০৫. প্রথম দেখায় ভালবাসা- শুধু বইয়ে বা সিনেমায় হয়। প্রথম দেখায় যা হয় তা হলো পছন্দ বা মোহ। তাই প্রিয় পাঠকদের বলছি, ভালবাসার ফুল ফুটতে সময় দিন। যদি কোন ভদ্রলোক আপনাকে একটু তাড়াতাড়িই ‘ভালবাসি’ বলে ফেলে, আপনার লাগাম টেনে ধরুন।

০৬. ছেলেরা বলে থাকে পৃথিবী বড়ই কঠিন, সবাই স্বার্থপর। কিন্তু এটা ভুল। নিজের কোন ভুলের জন্য দুনিয়াকে বা আপনার মেয়ে সঙ্গীকে দোষ দেয়ার কোন মানে হয় না। নিজের ‘সমস্যার’ কারণ হিসেবে যদি প্রেমিকাকে দোষ দেন, তাহলে প্রেমিকাও ‘সমস্যা’ কে নিয়ে আপনার কাছ থেকে চলে যাবে।

০৭. ‘না’ শুনতে যেন কিছুতেই মন চাই না। নিজের আবেগকে আয়ত্বে নিয়ে আসতে হবে। যদি নিজেকে পাপোশ ভাবেন এবং খুশি থাকেন, ভবিষ্যত খুবই খারাপ। শ্রদ্ধা করতে শিখুন। দেখবেন সব মানুষ আপনাকে শ্রদ্ধা করছে। হিটলার হন, তার নাৎসি বাহিনী নয়।

০৮. টাকা ওয়ালা অনেক ধনীর দুলাল আছে যারা মনে করে টাকার বিনিময়ে সব, এমনকি ভালবাসাও পাওয়া যায়, তাদেরকে বলছি এই ধারনা ঝেড়ে ফেলুন। তা না হলে ভাল সম্পর্কের সম্ভাবনাগুলোও হারিয়ে যাবে। আপনার ভ্রান্ত ধারনা একদিন আপনাকেই কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে।

০৯. যে ছেলে এখনও মায়ের কোলে বসে থাকে, মায়ের কথায় উঠে বসে, তাকে এখনি এড়িয়ে চলুন। কারন আপনি জানেন না তিনি মনস্টার-ইন-ল-য়ের (হলিউডের একটি সিনেমা) জেন ফন্ডা কি না, আর আপনিও নন জেনিফার লোপেজ।

১০. আপনার ছেলে বন্ধুর বয়স ২৫ হয়েছে, কিন্তু এখনও বাবার হোটেলে খায়! তাকে বলুন একটা কাজ জোগাড় করতে। না হলে সে তার বাবার উপর বা আপনার উপর নির্ভরশীল হবে। আপনাদের খাওয়া-ঘোরার বিল আপনাকেই দিতে হবে। যদি না দেন আপনি হবেন খারাপ বন্ধু বা প্রেমিকা। সেটা শুনতে নিশ্চয় ভাল লাগবে না।