বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: বিয়ে পরিবারের ভিত্তি স্থাপন করে। পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম আ. এবং প্রথম মানবী হজরত হাওয়া আ.কে কেন্দ্র করে মানবজাতির প্রথম পরিবার গড়ে উঠেছিল জান্নাতে। সেই ধারা আজও বহমান আছে। বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো পন্থায় পরিবার ও পারিবারিক জীবন গড়ে উঠতে পারে না। বিয়ের প্রথম কাজ হলো পাত্রী নির্বাচন। এটি একটি কঠিন কাজও বটে। তবে ইসলামের দেয়া নির্দেশনা মতে পাত্রী খুঁজলে কঠিন এ কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়।
পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের কিছু নির্দেশনা দেয়া আছে। পাত্রীর বিশেষ কিছু গুণের কথা বলেছে ইসলাম। তবে কিছু কিছু গুণ যাচাই করে দেখা আবশ্যক। আর সে গুণগুলো হচ্ছে, ‘পাত্রী দ্বীনদার ও ধার্মিক হওয়া’। এ সম্পর্কে রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘চারটি গুণের কারণে একটি মেয়েকে বিয়ে করার কথা বিবেচনা করা হয়। তার ধন-সম্পদ, তার বংশ গৌরব-সামাজিক মান-মর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য এবং দ্বীনদারী। তোমরা দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ে করে সফলতা অর্জন কর।’ বুখারি : ৪৭০০
যেভাবে পাত্রী খুঁজবেনউল্লেখিত হাদিসে চারটি গুণের মাঝে সর্বশেষ গুণটাই মুখ্য। প্রথম তিনটি গুণ বিদ্যমান থাকার পরেও যদি শেষের গুণ-দ্বীনদারী না থাকে, তাহলে প্রথমোক্ত তিনটি গুণ মূল্যহীন হয়ে যাবে। উল্লেখিত হাদিসটির ভাষা অপর এক বর্ণনায় এরূপ উদ্ধৃত হয়েছে- ‘তোমরা মেয়েদের কেবল তাদের রূপ-সৌন্দর্য দেখেই বিয়ে করো না। কেননা, এ রূপ-সৌন্দর্য অনেক সময় তাদের ধ্বংসের কারণ হতে পারে। তাদের ধন-সম্পদের লোভে পড়েও বিয়ে করবে না। কেননা এ ধন-সম্পদ তাদের বিদ্রোহী ও অনমনীয় বানাতে পারে। বরং তাদের দ্বীনদারীর গুণ দেখেই তবে বিয়ে করবে। বস্তুত একজন দ্বীনদার কৃষ্ণাঙ্গ দাসীও অনেক ভাল। ইবনে মাযাহ : ১৮৪৯
বিয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জীবনের সুখ এবং পরকালীন সুখের অনেকটা নির্ভর করে জীবন সঙ্গীর ওপর। তাই পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের ইসলামি রীতি মানা একান্ত প্রয়োজন। সূত্র: ইসলামি চিন্তার কাগজ