শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > যেতেও ভিড়, আসতেও ভিড়

যেতেও ভিড়, আসতেও ভিড়

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালের চিত্র আর কমলাপুর রেল স্টেশনের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে থামতেই যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে নামছেন। ট্রেনের ছাদে ওঠেও আসছেন কর্মস্থলে ফেরা মানুষ।

ঈদের চিরচেনা এ দৃশ্যই বলে দিচ্ছে ঈদ ও পূজার ছুটিতে বাড়িতে যেমন ঠাসাঠাসি করে যেতে হয়েছে। ঠিক কর্মস্থলে ফিরতেও একই রকম ঠাসাঠাসি করে আসতে হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, যাত্রীদের মাঝে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তির ছাপ। কোনো এক ট্রেন স্টেশনে থামার পর পুরো প্লাটফর্ম যাত্রীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে যাচ্ছে। দুই একটি ট্রেন ছাড়া অধিকাংশ ট্রেনই ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এতে অবশ্য অনেকে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বাসে তেমন কোনো ভিড় দেখা যায়নি। বাড়ি থেকে বাসে ওঠার পর গন্তেব্যে নেমে যাচ্ছেন যাত্রীরা। ফলে বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় নেই। কিন্তু কমলাপুল রেল স্টেশনের চিত্র ভিন্ন।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুজ্জামান জানান, বেলা ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জসহ মোট ২০টি ট্রেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই স্টেশনে পৌঁছেছে। এরমধ্যে ১০ থেকে ১২টি মেইল ট্রেন হবে। একতা মেইল ট্রেন প্রায় চার ঘণ্টা ও রংপুর এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে এসেছে। এছাড়া বাকি সব ট্রেনই ঠিক সময়ে এসেছে।
বেলা একটার দিকে কমলাপুর স্টেশনে কথা হয় শহিদুল ইসলামের সঙ্গে। দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছেন তিনি। শহিদুল ইসলাম জানান, ট্রেন ঠিক সময়ে এসেছে এটা ঠিক। তবে ট্রেনের মধ্য ছিল অতিরিক্ত যাত্রী। একেবারে ঠাসাঠাসি করে আসতে হয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে শিশুদের। কিন্তু এ ছাড়া অন্য কোনো উপায়ও নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনে ট্রেন থামার পর অনেকেই ট্রেনের ছাদ থেকেও নামছিলেন। এছাড়া ট্রেনের মধ্যেও ঠাসাঠাসি করে এসছেন যাত্রীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরলেও ক্ষোভ নেই তাদের।
কমলাপুর প্লাটফর্মে কথা হয় রাশেদুজ্জামান রাশেদের সঙ্গে। ট্রেনের মধ্যে জায়গা না পেয়ে ছাদে ওঠে এসেছেন তিনি।
রামেদ বলেন, বাসে টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রেনের ছাদে ঢাকায় এসেছি। কাল (শনিবার) কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েই রওনা হয়েছি। যেতেও ভিড়, আসতেও ভিড়।
কমলাপুর রেল স্টেশন মাস্টার কামরুজ্জামান আরও জানান, ঈদুল আজহার দিন থেকে সাতদিন পর্যন্ত তিনটি স্পেশাল ট্রেন চালু থাকবে। আজ সারাদিন নারায়ণগঞ্জসহ মোট ৫২টি ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে আবার ফিরে আসবে।