বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, “যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা ও পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে সরকার। কিন্তু এটা হতে দেয়া হবে না।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় সমাবেশের শেষ বক্তা হিসেবে ইমরান এইচ সরকার এ কথা বলেন।
নাম উল্লেখ না করে কামাল পাশা অংশের সমাবেশের সমালোচনা করে ইমরান বলেন, “তারা এক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি দিয়েছেন। তখন অন্য কারও কর্মসূচি ছিল না। এখন হঠাৎ করে মাইক এনে বক্তব্য দিচ্ছেন। অনেকেই এখন যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছেন।”
ইমরান এইচ সরকার বলেন, “আগামী ১৪ ও ১৫ নভেম্বর গণজাগরণ মঞ্চের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে ১৯ অক্টোবর ছয়টি দাবিতে আইন মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবো। দাবির মধ্যে আছে, যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান বাতিল, সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করা ও জামায়াত নিষিদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।”
তিনি জানান, এখন থেকে সম্মেলন হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা সারা দেশে জাগরণযাত্রা ও কর্মী সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাবেন।
পৃথক সমাবেশে অপর অংশের নেতা কামাল পাশা বলেন, “ ঈদের পর গণজাগরণ মঞ্চের কমিটি গঠন করব আমরা। এখন মঞ্চের কোনো কমিটি নেই।”
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায়ে কাজ করছি। আমাদের কোনো অংশ নেই। সবাই মঞ্চের কর্মী হিসেবে কাজ করছি।”
দুটি পক্ষ পৃথক সমাবেশ করেছে। মাত্র ৫০ গজের মধ্যে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের দুই পক্ষের সমাবেশ হয়েছে। এতে কোনো পক্ষের বক্তার বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি শ্রোতারা। পৃথক দুটি সমাবেশের মাইকের তীব্র শব্দে অনেককেই কানে আঙুল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পৃথক সমাবেশ হলেও দাবি ছিল প্রায় একই।
ইমরান এইচ সরকারের সমাবেশে কয়েক শ লোক ছিলেন। আর কামাল পাশার সমাবেশে ছিলেন ৪০ থেকে ৫০ জনের মতো লোক।