স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গঠিত গণজাগরণ মঞ্চের বর্ষপূর্তি আজ। এ উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চ তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচিগুলো হলো- আজ গণজাগরণ দিবসে সকাল ৭টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিকাল ৩টায় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু।
বিকাল সাড়ে ৩টায় দেশ-বিদেশের সকল গণজাগরণ মঞ্চে আগামী দিনের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য একযোগে শপথ গ্রহণ। এরপর শাহবাগে পরিবেশন করা হবে মুক্তিযুদ্ধ ও শাহবাগের আন্দোলনের উপর বিশেষ প্রদর্শনী। বিকাল ৪টায় দেশ-বিদেশের সকল গণজাগরণ মঞ্চে একযোগে জাগরণ যাত্রা।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্মৃতিচারণ এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ৬ই ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এরপর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গণমাধ্যমকর্মীদের স্মৃতিচারণ ও রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পঙ্ক্তিমালা। ৭ই ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রজন্ম চত্বরে ৩টি ভাগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম ভাগে প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে।
তাদের জন্য নির্ধারিত বিষয় ‘রঙ তুলিতে বাংলাদেশ’। দ্বিতীয় ভাগে চতুর্থ শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। তাদের জন্য নির্ধারিত বিষয় ‘রঙ তুলিতে মুক্তিযুদ্ধ’ এবং তৃতীয় ভাগে সপ্তম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। তাদের জন্য নির্ধারিত বিষয় ‘রঙ তুলিতে শাহবাগ’।
এরপর বিকাল ৩টায় শাহবাগে জাগরণ সমাবেশ, সমাবেশের পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, এ দিনটি আমাদের আবেগের দিন। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য দেশের সকল মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এ আন্দোলনে শরিক হয়েছিল। ডা. ইমরান বলেন, এদিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা ৫ই ফেব্রুয়ারিকে ‘জাগরণ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছি।