শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > প্রবাস > যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশী বহিষ্কারের ঝূঁকিতে

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশী বহিষ্কারের ঝূঁকিতে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা শিশু কিশোরদের বৈধতার সুযোগ দেয়ার এক সিদ্ধান্ত বাতিলের কারণে যে আট থেকে নয় লাখ অভিবাসী বহিষ্কার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তার মধ্যে হাজার হাজার বাংলাদেশীও রয়েছেন। অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থা ডিআরইউএ বা ড্রাম। ড্রাম বলছে ওবামার দেয়া কর্মসূচি বাতিলের ফলে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশী ঝূঁকিতে পড়েছেন।

বাংলাদেশের নাইম ইসলাম, যিনি ৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এরপর থেকে ১৬ বছর ধরে আছেন নিউইয়র্কে। ‘ডাকা’ কর্মসূচির সুযোগে ৫ বছর আগে বৈধতা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই কর্মসুচি বাতিলের পর বহিষ্কারের ঝুঁকিতে আছেন নাইম ইসলামও

নাইম ইসলাম বলেন, এই দেশে যাদের ডাটা আছে তারা এক বছর বা দুই বছর তার পরে তারা আর কাজ করতে পারবে না। আর আমার মতো যারা ছোট থাকতেই এ দেশে এসেছে তারা কাগজ পত্র ছাড়াই কাজ করতে পারবে। যাদের কাগজ পত্র নাই তাদের মালিকরা যাই দেয় তাদের সেটাই নিতে হয়। কারণ তাদের কোন বৈধতার কাগজ পত্র নাই।

বাংলাদেশে আসা সম্ভব নাকি সম্ভব না? এর জবাবে তিনি বলেন, আসা সম্ভব আবার সম্ভব না, কারণ আমি এখানে বড় হয়েছি এখানেই আমি পড়াশোনা করেছি এখানে আমার পরিবার আছে আর বাংলাদেশের যে সংস্কার সংস্কৃতি সেটাতে এখন মানিয়ে নিতে পারবো না। আর আমি যা জানি সব কিছুই এই দেশের সেটা বাংলাদেশের জন্যে মানানসই না। বাংলাদেশে যদি চলে যাই সেটা কোন অপশন না। আমাদের একমাত্র পথ হচ্ছে সবার সাথে মিলে কিভাবে কি করা যায়, কোন আইন পাওয়া যায় কিনা, আমাদের জন্যে কাগজ পত্র দেয়ার জন্যে।

আপনার মতো যারা আছেন তারা এখন কি করছে?

জবাবে তিনি বলেন, আমার মতো যারা এখানে আছে তারা কাজ করছে পরিবার চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেক দুচিন্তা কাজ করছে অনেক ভয়ে আছে। তারা কিভাবে থাকবে কিভাবে কাজ করবে সেগুলো নিয়ে। কিন্তু আমাদের ভয়ে থাকলে হবে না, আবার যদি বসে থাকি সেটাও হবে না। আমাদের আগে থেকেই কিছু করতে হবে। এদেশে রাজনিতিবিদের কাছে জানান দিতে হবে আমাদের পাওনা।

কমিনিউটির ভেতরে যে সব উকিলরা আছে তারা বলে আমাকে ১ হাজার ২ হাজার টাকা দাও আমি তোমাদের কাগজ পত্র সব ঠিক করে দিব কিন্তু তারা কিছুই করে না। আমরা যে সমস্যায় পরেছি তারা সেই সুযোগটা নিচ্ছে, সেটা ভুল তারা শুধূই টাকা নিতেছে তারা কিছুই করবে না এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা