বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মুসলিম নারী বিচারপতিকে হত্যা নদীতে ফেলে রেখে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার শিকার মুসলিম ওই বিচারপতির নাম শিলা আব্দুস সালাম। তিনি আফ্রিকান আমেরিকান মুসলিম নারী। নিউ ইয়র্কের হ্যাডসন নদীতে শিলার লাশ পাওয়া যায়।
তিনি নিউ ইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের বিচারক ছিলেন। শিলাই প্রথম মুসলিম নারী বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২ টার দিকে শিলার লাশ হ্যাডসন নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
এরপর নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৬৫ বছর বয়ষী এ নারী মার্কিন ইতিহাসে প্রথম মুসলিম বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নিহত উদ্ধার হওয়ার আগে তার স্বামী আব্দুস সালাম তার নিখোঁজ হওয়ার খবর নিয়ে পুলিশের কাছে একটি সাধারন ডায়েরি দায়ের করেছিলেন। লাশ উদ্ধার হওয়ার পর তার স্বামী তাকে সনাক্ত করেন। শিলার শরীর থেকে কোনো ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। পুলিশ হত্যা রহস্য বের করতে তদন্ত চালাচ্ছে।
শিলা কলম্বিয়া ল স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ইস্ট ব্রুকলিন লিগাল সার্ভিসের এটর্নি হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে ১৯৯৩ সালে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টে যোগদানের আগ পর্যন্ত শিলা আইনি পরামর্শক হিসেবে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
শিলার সহকর্মী এন্ড্রিও কুমোর এ হত্যার জন্য শোক প্রকাশ করে বলেন, শিলার মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রথম মুসলিম নারী বিচারক। তিনি তার বিচারকাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতেন।
জনাথন লিপম্যান যিনি ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিলা সম্পর্কে তিনি বলেন, শিলা আব্দুস সালামের মৃত্যু আমাদের জন্য বিশাল একটি শোকের বার্তা। তিনি একজন ভালো বিচারকের পাশাপাশি আমাদের একজন ভালো সহযোগীও ছিলেন।
তার মৃত্যুতে দেশের বিচার কাজেও শিথিলতা এসে পড়েছে। একজন মানুষ হিসেবেও শিলা ছিলেন অসাধারন ব্যক্তিত্বের অধিকারী। আমি তাকে অনেক কাছ থেকে চিনি। আমরা পড়াশোনাও একসঙ্গে করেছি। শিলা আব্দুস সালামের লাশ যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। দ্য হিল ও নিউ ইয়র্ক পোস্ট থেকে অনূদিত