শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > যারা শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত

যারা শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মজহার, ইংরেজি দৈনিক নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, দৈনিক মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, কলামিস্ট ড. মাহফুজ উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও আইনজীবী তুহিন মালিকসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
একইসঙ্গে গোলাম মর্তুজা, দিলারা চৌধুরী ও আমেনা মহসিনকেও সমাবেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এ ঘোষণা দেন।
স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর বীরঙ্গনাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনাদের আত্মত্যাগে অর্জিত দেশের সকল শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা রক্ষার্থে ঘাতক-দালাল, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতিবাজসহ গণশত্রুদের শহীদ মিনারে স্থান হবে না। এদের প্রতিহত করার প্রত্যয়ে আজকের এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বক্তরা।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, যুদ্ধাপরাধী ও দেশদ্রোহী পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে আনার অপচেষ্টা করায় তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের রায় দ্রুত কার্যকর ও শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা করতে সরকারের নিকট আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠনসমূহকে নিয়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা করার ঘোণষা দেওয়া হয়। ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা ও সমাবেশ করারও ঘোষণা দেন আয়োজকরা।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুশমত, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
এছাড়া সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চ স্লোগান ৭১, বন, প্রাণের ৭১, সিপি গ্যাং ও চারুশিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন চারুশিল্পীরা।