শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > খেলা > ম্যাশের হাফ সেঞ্চুরি

ম্যাশের হাফ সেঞ্চুরি

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ খেলেই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে কিংবা বিশ্বকাপের পর পরই আফ্রিকার মাটিতে কোন সিরিজ নেই বাংলাদেশের। মাশরাফি ইতিমধ্যে টি২০ ক্রিকেট থেকেও অবসর নিয়েছেন ফলে আফ্রিকার সাথে দুই টি২০ ম্যাচেও থাকছেন না তিনি। ফলে আজ সিরিজের ৩য় ও শেষ ম্যাচই প্রোটিয়াদের মাটিতে মাশরাফির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে পারে।

অন্যদিকে অধিনায়ক হিসেবে হাফ সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশের তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০তম ম্যাচ খেলার দোরগোড়ায় রয়েছে তিনি। আজ ইস্ট লন্ডনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটাই অধিনায়ক হিসেবে ৫০তম ম্যাচ হবে তার। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে ৫০ বা ততোধিক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাবিবুল বাশার সুমন ও সাকিব আল হাসান। হাবিবুল বাশার দিয়েছেন ৬৯টি ও সাকিব আল হাসান ৫০টি।

২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই ইনজুরিতে মাঠ ত্যাগ করেন মাশরাফি। এরপর ওই সিরিজে মাঠে ফিরতে পারেন নি মাশরাফি। সেটিই ছিলো তার অধিনায়ক হিসেবে একমাত্র টেস্ট।

২০১০ সালে ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক মাশরাফির। ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ রানের ঐতিহাসিক জয়টি এসেছিলো মাশরাফির নেতৃত্বেই। সে ম্যাচের সেরাও ছিলেন ম্যাশ। আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ২৫ বলে ২২ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৪২ রানে ২ উইকেট নেন ম্যাশ। এরপর বাংলাদেশকে সাফল্যের জোয়াড়ে ভাসিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টারফাইনালে খেলে টাইগাররা। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শেষ আটে খেলার পর দেশের মাটিতে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় করে মাশরাফির নেতৃত্বেই। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকে না পারলেও পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইওয়াশ করে টাইগাররা। এমন দুর্দান্ত সব অর্জনে সরাসরি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার ছাড়পত্র পায় বাংলাদেশ।

চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দল ভালো খেলতে না পারায় অধিনায়ক হিসেবেও সাফল্য পাননি ম্যাশ। তারপরও এখন পর্যন্ত ৪৯টি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে ২৭ জয় ও ২০ হারের স্বাদ দিয়েছেন ম্যাশ। বাংলাদেশের অধিনায়কদের মধ্যে শতকরা জয়ের দিক দিয়েও সবার চেয়ে এগিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধিনায়ক বলা হয় ম্যাশকে।