শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ম্যান্ডেলার সঙ্গে খালেদার তুলনা করে বিএনপি তাকে অপমান করেছে

ম্যান্ডেলার সঙ্গে খালেদার তুলনা করে বিএনপি তাকে অপমান করেছে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, বিশ্ববিখ্যাত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার তুলনা করে আপনারা তাকে (ম্যান্ডেলা) অপমান করেছেন। কারণ, খালেদা জিয়া জেলে গেছে চুরির দায়ে আর নেলসন ম্যান্ডেলা জাতির স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে কারাগারে ছিলেন।

শনিবার দুপুরে আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সপ্তম কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন চয়ন ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন হারুনুর রশীদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেত্রী যিনি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কারাগারে আছেন। নেতারা তার তুলনা করে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে। আমি মনে করি, খালেদার সঙ্গে ম্যান্ডেলাকে তুলনা করে তাকে (ম্যান্ডেলা) অপমান করা হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা জাতির স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে কারাগারে ছিলেন। দুর্নীতি করে কারাগারে যাননি।

খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যিনি ক্ষমতায় থাকতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। যিনি আমাকে হত্যার জন্য বার বার চেষ্টা চালিয়েছেন। যিনি এদেশের সমাজকে ধ্বংস করেছেন। যাদের দুর্নীতিই ছিল নীতি। যার ছেলে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, মানি-লন্ডারিংয়ের কেসে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের সঙ্গে এই ধরনের আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় ( নেলসন ম্যান্ডেলা) একজন ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা কোন মুখে করে, সেটাই আমার প্রশ্ন। তারা দেশের জন্য কি করেছে, কিছুই করেনি। অত্যাচার নির্যাতন ছাড়া কিছুই তারা করতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এদেশের যুব সমাজের হাতে অস্ত্র এবং মাদক তুলে দিয়েছিল ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে সে বিষয়ে কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা ছিল না। ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা ক্ষমতা ভোগ করা এবং ক্ষমতা ভোগের মধ্য দিয়ে বিলাস ভাবে দিন কাটানো আর এদেশের বঞ্চিত করা বঞ্চিত করা এটাই ছিল বাস্তবতা।