স্পোর্টস ডেস্ক ॥
ব্যাটিংয়ে যেমন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছিলেন ক্রিস ওকস, বোলিংয়েও রাখেন সেই ধারাবাহিকতা। ইনিংসের পাঁচ ওভারের মধ্যে তুলে নেন ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও তিনে নামা মার্কাস স্টয়নিসের উইকেট। তাকে সঙ্গ দেন ব্যাটসম্যান থেকে বোলার বনে যাওয়া জো রুট, ফেরান ডেভিড ওয়ার্নার ও ফর্মে থাকা মিচেল মার্শকে।
দুর্ভাগ্যবশত রানআউটে কাঁটা পড়েন মার্নাস লাবুশেন। যার ফলে ৩০২ রানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তখন দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৩ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ রান তাড়া করে ৫ বা তার কম উইকেটের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড ছিল ৫৪টি ম্যাচে। কিন্তু কোনোটিতেই এত অল্প রানে ৫ উইকেট হারায়নি কোনো দল।
ফলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বাজি ধরার লোক পাওয়া তখন দুষ্করই ছিল। তবে ভিন্ন ভাবনাই ছিল ছয় ও সাত নম্বরে নামা অ্যালেক্স ক্যারে ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মনে। দুজন মিলে চাপ সামলে খেলতে থাকেন বলের সঙ্গে রানের পাল্লা দিয়ে। ইনিংসের ১৭তম ওভারে ৭৩ রান থেকে শুরু, তাদের বিচ্ছেদ ঘটে ৪৮তম ওভারে দলীয় ২৮৫ রানে গিয়ে।
অর্থাৎ ৩০.৪ ওভারের জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ২১২ রান। ওয়ানডে ইতিহাসে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ২০০+ রানের জুটি এটিই প্রথম। ক্যারে-ম্যাক্সওয়েলের এই অবিশ্বাস্য কামব্যাক জুটিতে ভর করেই ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সিরিজও জিতে নিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ম্যাক্সওয়েল খেলেন ৯০ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। যার সুবাদে পৌঁছে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩০০০ রানের মাইলফলকে, একইসঙ্গে ইনিংসে হাঁকানো সাত ছয়ের মাধ্যমে করেন ওয়ানোডেতে ছক্কার সেঞ্চুরি। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ক্যারে করেছেন ১০৬ রান।