শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > মোর্শেদ খানকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

মোর্শেদ খানকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থ পাচার মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোর্শেদ খান ও তার ছেলে ফয়সাল মোর্শেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদনী শিবলী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এ জিজ্ঞাসাবাদ দুপুর পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
হংকংয়ে ৩২১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় এম মোর্শেদ খানের সঙ্গে তার ছেলে ও স্ত্রী নারসিন খানও আসামি হিসেবে রয়েছেন।
দুদক সূত্র জানায়, আসামিরা বিদেশে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং ওই হিসাবগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমোদন গ্রহণ করেননি। আসামিরা ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতিরেকে বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা রেখে বেআইনি কার্যাকলাপ করেছেন। আসামিদের উপার্জিত বৈধ অথবা অবৈধ অর্থের উৎস গোপন রেখে তা অবৈধভাবে বিদেশে পাচার ও সংরক্ষণ করেছেন।
এম মোর্শেদ খান, তার স্ত্রী ও ছেলের মালিকানাধীন ফার ইস্ট টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেডের নামে হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে সাতটি মাল্টি কারেন্সি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি ইউএসডি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট, একটি ইউএসডি সেভিংস অ্যাকাউন্ট, চারটি ফিক্সড ডিপোটিজ অ্যাকাউন্ট ও একটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এ ছাড়া হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে এম মোর্শেদ খানের নিজ নামে একটি ইউএসডি সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও একটি এইচকেডি (হংকং ডলার) সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অনুরূপভাবে হংকং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ফয়সাল মোর্শেদ খানের নামে একটি ইউএসডি সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও একটি এইচকেডি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
এ সব অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় আসামিরা ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬২ হাজার ৫৪১ মার্কিন ডলার ও ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৩ হংকং ডলার পাচার করেছেন। বাংলাদেশী অর্থে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩২১ কোটি টাকা। আসামিরা ২০০১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়ে এ সব অর্থ পাচার করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।