বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, তিনি গভীরভাবে চিন্তা করেন। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পের কাগজ হাতে দিলে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে প্রশ্ন রাখেন, ‘আমাকে বলেন তো, এত টাকা দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে কার উপকার হবে?’ নারীরা, বয়স্ক লোকেরা, শিশুরা, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, দূর-দূরান্তের গ্রামের মানুষ, পার্বত্য এলাকার মানুষ, চরাঞ্চলের মানুষ, হাওরের মানুষ – এই ধরনের পিছিয়ে পড়া মানুষের উপকার হবে কি না, বোঝান।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামে ‘থার্টিন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন বিজনেস ইনোভেশন ফর ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার গভীরতা তুলে ধরতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ স্থাপন করি আমরা। সেখানে হোস্টেল হয় মেয়েদের জন্য। প্রথমেই তিনি বলেন, সমান সমান সুযোগ দেন। ছেলেদের ১০০ সিট থাকলে মেয়েদেরও ১০০ সিট দেবেন। কম দিতে পারবেন না। আর মেয়েদের হলের প্রত্যেক তলায় তলায় প্রাইভেট রুম থাকতে হবে, যেখানে তারা সাজগোজ করবে। তাদের জন্য পার্লার রেখে দাও। এটা অন্যায় কিছু না। লজ্জারও কিছু না। এটা স্বাভাবিক কাজ। ছাদের ওপর মেয়েদের জন্য সাঁতারের ব্যবস্থা করে দেন। মেয়েরা একা একা থাকে। তারা চাঁদের রাতে সাঁতরাবে। এটা কি অন্যায় কোনো জিনিস? এটা কি আমরা ভোগ করতে পারি না? এগুলো হালকা বিষয় নয়, গভীর বিষয়।’
মন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী চান শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করি। তাই করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক সভায় বারবার বলেন, আরও বেশি করে গবেষণা করতে হবে। গবেষণায় রয়েছে নতুন জ্ঞানের সন্ধান। সেই কাজটা করতে হবে।
স্বকীয়তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা আঙুর, আপেল খাই না। আমরা আম, জাম, কাঁঠাল খাই। আমরা বিরিয়ানি, পোলাও খাই না। আমরা সাদা ভাত, সবজি, ডাল, মাছ খাই। এগুলোই আমাদের জন্য খাদ্য, আল্লাহর নিয়ামত। এগুলো খেয়েপরে, আলো-হাওয়া ভোগ করেই আমাদেরকে উন্নয়ন করতে হবে। আমার ভাষা, সংস্কৃতি, পরিচয় অন্যায় কিছু নয়। আমরা মানুষের মিছিলে চলতে চাই আত্ম-পরিচয় তুলে ধরে। এখানে মাথা নোয়াবার কোনো বিষয় নয়।’এ সময় সবাইকে সহিষ্ণু হওয়ার পরামর্শ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দিনসহ অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।