স্টাফ রিপোর্টার ॥
মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছরের উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে মেধাতালিকা তৈরির নিয়ম আটকে দিয়ে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত রেখেছে আপিল বিভাগ।
সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশের ফলে ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকা তৈরির সময় দ্বিতীয়বারের পরীক্ষার্থীদের ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তই বহাল থাকল।
রাষ্ট্রপক্ষ ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) দুটি আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই এ বিষয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী শুক্রবার। আর ১০ নভেম্বর হবে ডেন্টালের ভর্তি পরীক্ষা।
২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির আবেদন আহ্বান করে গত ২১ অগাস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে বলা হয়, এমবিবিএস বা বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) এ সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ একটি রিট আবেদনে করেন।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
নম্বর কেটে নেওয়ার ওই সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে গেলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি বুধবার আপিল বিভাগে ওঠে এবং শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের আদেশই বহাল রাখা হয়।