বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যা ॥ দুই জনের যাবজ্জীবন, ১১ জন খালাস

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যা ॥ দুই জনের যাবজ্জীবন, ১১ জন খালাস

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিপন হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে ১১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শহীদ (পলাতক) ও রাসেল । যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ের তাদের আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

রায়ে ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সাধন নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, সুরুজ্জামান, দুদু মিয়া, অলি উল্লাহ, হারুন, ইসলাম, মিন্টু, ফজলুল হক ওরফে ফজলা, আবদুর রহমান সরকার, শামীম, শাহীন ও পারভেজ।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজুর রহমান লিখন। বাদীপক্ষে  ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম খন্দকার। আর আসামিপক্ষে ছিলেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।

বাদীপক্ষের আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম খন্দকার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পায়নি। রায়ের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ জুন সকালে বালু ব্যবসায়ী রিপন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকায় বালু ভরাটের কাজ তদারকি করা অবস্থায় আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, ছেন, রামদা, দা বল্লম, লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন রিপনের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোজাফর আলী সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে সিআইডির উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে ২৩ সাক্ষির মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।