স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ ২২ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হবে। অনুষ্ঠানে ‘দি বাংলাদেশ জেনোসাইড ইন কম্পারেটিভ পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করবেন ড. অ্যাডাম জোন্স (কানাডা)।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করবেন ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন তারিক আলী। সঙ্গীত পরিবেশন করবেন শিল্পী বুলবুল ইসলাম। অনীক বসুর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করবে স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী। এছাড়াও সপ্তাহব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ সেগুনবাগিচায় একটি পুরনো ভবন ভাড়া নিয়ে যথাযথ সংস্কার শেষে যাত্রা শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে ইতিহাসের স্মারক সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উপস্থাপনের এই প্রয়াস গোড়া থেকেই ব্যাপকভাবে মানুষের সমর্থন ও সহায়তায় ধন্য হয়েছে। বর্তমানে জাদুঘরের সীমিত পরিসরে প্রায় ১৪শ স্মারক প্রদর্শিত হলেও সংগ্রহভাণ্ডারে জমা হয়েছে ১৫ হাজরেরও বেশি স্মারক।
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিরপুরে মুসলিম বাজার ও জল্লাদখানা বধ্যভূমি খননের কাজ সম্পন্ন করে এবং পরে (২০০৮ সালে) জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতিপীঠ নির্মাণ করে। ‘মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশন’এর অংশীদারিত্বে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ও মানবাধিকার বিষয়ক প্রদর্শনীর বিশেষ আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের রয়েছে গ্রন্থাগার ও তথ্যভাণ্ডার এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল সেন্টার। হৃদয় আলোড়িত করা জাদুঘর-প্রদর্শনী ও বিভিন্নমুখি কর্মতৎপরতা দ্বারা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিণত হয়েছে দেশে-বিদেশে নন্দিত প্রতিষ্ঠানে।
