আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স চার্লস তার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরসূচি থেকে মিয়ানমারের নাম বাদ দিয়েছেন। ব্রিটিশ যুবরাজের এ সফরের অংশ হিসেবে মিয়ানমারে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হলো।
চার্লস ও ক্যামিলা ৩১ অক্টোবর সিঙ্গাপুর সফরের মধ্য দিয়ে তাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শুরু করবেন। এরপর মালয়েশিয়া যাবেন। সেখান থেকে ভারতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ১১ দিনের সফর শেষ হবে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ ওঠার পর যুবরাজের সফরসূচিতে এ পরিবর্তন আনা হলো। চলতি মাসের শেষের দিকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর করবেন প্রিন্স চার্লস।
গত মাসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান জানায়, এ সফরের অংশ হিসেবে মিয়ানমারেও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল চার্লসের। তার সহযোগিরাও স্বীকার করেছেন, মিয়ানমারকেও সফরসূচিতে রাখার কথা বিবেচনায় ছিল। তবে যুবরাজের চূড়ান্ত সফরসূচি থেকে মিয়ানমারের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
বুধবার ইস্যুকৃত চূড়ান্ত সফরসূচিতে দেখা যায়, সেখানে মিয়ানমারের নাম নেই। ব্রিটেনের ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের বিভাগীয় প্রধান ফিলিপ মেলন বলেছেন, ‘আমরা জানাচ্ছি যে, আমরা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফরে যাব।’
রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় গত মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি স্থগিত করে ব্রিটেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোও মিয়ানমারে চার্লসের সফরের বিরোধিতা করে আসছিল।
বার্মা ক্যাম্পেইন অ্যাট ইউকে নামের মানবাধিকার সংগঠনের পরিচালক মার্ক ফার্মানার বলছেন, ‘এই সময়ে প্রিন্স চার্লসের মতো কারও মিয়ানমার সফরে যাওয়ার মানে দাঁড়াবে সে দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয়টিকে বৈধতা দেয়া।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে দ্বিতীয়বারের মত সহিংসতায় উত্তাল হয়ে ওঠেছে রাখাইন রাজ্য। গত সোমবার (২ অক্টোবর) পর্যন্ত ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে।