শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > মিশেলের ম্যুরাল বিতর্ক ও অতঃপর দফারফা

মিশেলের ম্যুরাল বিতর্ক ও অতঃপর দফারফা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার একটি ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং এ শিল্পকর্মে কেউ খুশি হতে পারছেন না। শৈশবে মিশেল ওবামা শিকাগোতে বেড়ে উঠেছেন এবং সেখানকার একটি ভবনের দেওয়ালে স্থানীয় শিল্পী ক্রিস ডেভিনস তার শিল্পকর্মটি করেছেন। অনলাইনে এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে এবং অভিযোগ ওঠে যে ডেভিনস রোড আইল্যান্ডের এক চিত্রকলা ছাত্রীর আঁকা মিশেলের ছবিটি হুবহু প্রতিস্থাপন করেছেন।

গিলিলা মেসফিন নামে ওই ছাত্রী গতব ছর ইন্সটাগ্রামে মিশেল ওবামার এক অভিন্ন আকৃতি পোস্ট করেছিলেন। এখন সেই ছবি কিভাবে একজন চিত্রশিল্পী শিকাগোর ওই ভবনের গায়ে ম্যুরাল হিসেবে ব্যবহার করলেন, বিতর্ক এনিয়েই বেশ সরব হয়ে উঠেছে। মেসফিনের কাছেও এ এক বিস্ময়ের ব্যাপার। ইন্সটাগ্রামে মেসফিন তার বক্তব্যে বলেন, কিভাবে একজন আরেকজনের ছবি চুরি করতে পারে। এবং দাবি করে যে চিত্রকর্মটি তার। এটি একটি নিন্দনীয় কাজ ও অসন্মানজনকও বটে।

এদিকে সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ক্রিস ডেভিনস চিত্রকর্মটি চুরির অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি জানতাম না মিশেলের এধরনের ছবি কেউ আগে এঁকেছে। ইন্সটাগ্রামে এধরনের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি প্রথম জানেন। মেসফিনের আঁকা ছবির জন্যে তাকে আমি শীঘ্রই স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছি। মিশেলের ম্যুরাল তৈরির এমন ধারণা আমি সর্বপ্রথম পাই মিশরীয় রানির আদলে আঁকা দেশটির সাবেক এক ফার্স্ট লেডির ছবি থেকে। তবে তিনি ওই ছবির উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু জানাতে পারেননি ।

ডেভিন্স নিজেকে একজন নগর পরিকল্পনাবিদ ও পাশাপাশি চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচয় দেন। মিশেলের ম্যুরালটি স্থাপনে ওই ভবনটি বেছেন নেওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, আশেপাশেই একটি এলিমেন্টারি স্কুল রয়েছে যেখানে সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি পড়াশুনা করতেন। এবং ম্যুরালটি দেখে অনেক নারী উৎসাহিত হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। ম্যুরালটি তৈরির আগে ‘গো ফান্ড মি’ নামে তিনি অনলাইনে প্রচারণা শুরু করেন এবং ১২ হাজার ডলার তুলতে সমর্থ হন। এখন মেসফিনের সঙ্গে সরাসরি কথা না বললেও ডেভিনস তার আইনজীবীর কাছে লাইসেন্স ফি হিসেবে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ও দরকষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন। মেসফিন এধরনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ডেভিনসের আচরণকে পেশাগত বলে অভিহিত করেছেন। সিএনএন