স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আগে থেকেই দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরামের নেতারা সেখানে যান। উপস্থিত ছিলেন জোটের শীর্ষ নেতারাও
৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি জোট যে আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েছিল তাতে দলের নেতাদের দেখা যায়নি। কারণ বেশ কয়েকজন নেতাকে কারাবরণ করতে হয়েছে। আর বাকিরা ছিলেন আত্মগোপনে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৫ জানুয়ারি একই জায়গায় খালেদা জিয়া একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের না দেখে কর্মীরা প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা পরবর্তীতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বলেছিলেন যারা আন্দোলনে ছিল না তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়া হয়। খালেদা জিয়াও তাদের আশ্বস্ত করেন।
তবে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে আত্মগোপনে থাকা অনেক নেতাদের দেখা গেছে। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস কারামুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
ওদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাউদ্দিন আহমেদ, আমান উল্লাহ আমানসহ অনেকেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ দুপুরে কারামুক্ত হলেও তিনি আসতে পারেননি।
চেয়ারপারসনের সংবাদ সম্মেলন উপলক্ষে অনেকদিন পর বিএনপি নেতাদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হলো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর রফিকুল ইসলাম মিয়ার কোলাকুলিতেই তা স্পষ্ট। শুধু তারাই নয় আরো অনেক নেতাও একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এমন কি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও জোট নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
অবশ্য আত্মগোপনে থাকা নেতাদের নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ থাকলেও খালেদা জিয়া তাদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক বিএনপি চেয়ারপারসনকে প্রশ্ন করেন, কর্মসূচি চলাকালে ঢাকায় আপনার দলের নেতাদের দেখা যায়নি। জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারা আশেপাশেই ছিল। সরকার ভয়ে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি।’ এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মী-সমর্থকরা হয়তো স্পষ্ট হবেন যে, খালেদা জিয়ার নির্দেশেই নেতারা আত্মগোপনে ছিলেন।