স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাসের সম্পদ সবচেয়ে বেশি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ একশ’ কোটি টাকার ওপরে।
এছাড়া বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৩৭টি ফৌজদারী মামলা রয়েছে। যা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা করছেন বলে তার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। তার পুরো নাম মির্জা আব্বাস উদ্দীন আহমেদ।
বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৩৭টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এবং অতীতে ২৪টি মামলা ছিলো। যার মধ্যে দুটো ‘নন সেন্টআপ’ ও ১৫টি মামলায় অব্যাহতি বা খালাস পেয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
মির্জা আব্বাস নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়ে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকানসহ অন্যান্য ভাড়া বাবদ তার বছরে আয় ১ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪৩ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বাৎসরিক আয় ৬ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার ২৯০ টাকা এবং অন্যান্য খাতে ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৫০ টাকা।
এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে তার নগদ ৫০ লাখ টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থ, মোটরগাড়ি, অকৃষিজ জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালান ও অন্যান্য মিলিয়ে মোট সম্পদ রয়েছে ১০০ কোটি ৭০ লাখ ৭১ হাজার ৯৮৫ টাকা।
ব্যাংকের কাছে তার ঋণ রয়েছে ৭৫ কোটি ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ৯০৩ টাকা। হলনামায় আব্বাস তার স্ত্রীর নামেও প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে মোট ২০ প্রার্থী ও উত্তরে মোট ১৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সম্পদের হিসাবে অন্য প্রার্থীরা মির্জা আব্বাসের ধারেকাছেও নেই।
ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হকের সম্পদের পরিমাণও এতো নয়। আনিসুল হকের বছরে আয় ৭৫ লাখ টাকা। আর মোট সম্পদ ২০ কোটি টাকা মূল্যমানেরও কম।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।