সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। পরে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ উইকেট নিলেও সফরকারী জিম্বাবুয়ে ৮২ রানের লিড তুলে নেয়।
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। পরে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ উইকেট নিলেও সফরকারী জিম্বাবুয়ে ৮২ রানের লিড তুলে নেয়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় দিনশেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। আজ তৃতীয় দিন টেস্টের গতিপথ নির্ধারণ করে দিতে পারে। বাংলাদেশ লিড বাড়িয়ে অতিথিদের চাপে ফেলবে নাকি দ্রুত কিছু উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকেই উল্টো চাপে ফেলবে ক্রেগ আরভিনের দল, এখন সে অপেক্ষা।
লিড নিয়ে উজ্জীবিত অতিথিরা চাপে রাখে বাংলাদেশকে। চতুর্থ ওভারে শন উইলিয়ামসের ক্যাচ বানিয়ে সাদমান ইসলামকে সাজঘরে ফেরান ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর কোনো বিপদ হয়নি। ৯.২ ওভার টিকে থেকে বোর্ডে ৪৪ রান যোগ করেন মুমিনুল ও জয়। জয় ২৮ ও মুমিনুল ১৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে ছিল মিরাজের ঘূর্ণি-শো। ২০২২ সালের পর ঘরের মাঠে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। ৫২ রানে ৫ উইকেট নেন ডানহাতি অফস্পিনার। এছাড়া পেস বোলার নাহিদ রানা ৭৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পান হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ।
বাংলাদেশকে ১৯১ রানে অলআউট করে দেয়ার পর বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে রোববার প্রথম দিন মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে। গতকাল প্রথম সেশনে নাহিদ রানার গতিতে এলোমেলো অতিথিরা। দলটি ৩৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৩ রান তুলে লাঞ্চের বিরতিতে যায়। নাহিদ রানা একাই নেন ৩টি উইকেট, বাকিটা নেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় সেশনে তারা হারায় আরো ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও মিরাজ। এরপর টানা ৪ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করেন মিরাজ। এ নিয়ে ১১তম বারের মতো টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
মিরাজের চোখ রাঙানোর মধ্যেই শেষ দিকে রিচার্ড এনগারাভা (২৮*) ও ব্লেসিং মুজারাবানি (১৭) মূল্যবান কিছু রান যোগ করে জিম্বাবুয়ের লিড বাড়িয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ১৯১ ও ৫৭/১ (জয় ২৮*, মুমিনুল ১৫*)। জিম্বাবুয়ে: ২৭৩ (শন উইলিয়ামস ৫৯, নিয়াশা মায়াভো ৩৫; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ ৩/৭৪)।—দ্বিতীয় দিন শেষে