শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > বিনোদন > মিতা নূর ও জিয়া খান:অগ্রাধিকার কার?

মিতা নূর ও জিয়া খান:অগ্রাধিকার কার?

শেয়ার করুন

বিনোদন ডেস্ক ॥ প্রায় পর পর দুইজন সেলেব্রিটির আত্মহত্যা দেশের সব শ্রেনীর দর্শকদের নাড়া দিয়ে গেল।বলতে গেলে বেশ বড় একটা ধাক্কাই দিয়ে গেল।আর হবেই বা না কেন?বাংলাদেশের মিতা নুর আর ভারতের জিয়া খান এক একজন সেলেব্রিটি যাকে ল কোটি লোক চেনে,মনে রাখে,দেখতে চায় ।তাদের মত কেউ যদি মারা যায় তাহলে বেশ কদিন মনে একটা রেশ তো থেকেই যায়।আর সেই অন্তর্ধান যদি হয় আত্মহত্যা- তাহলে তো সেটা মনের ভিতর কি বাহিরে এক বড় চাপ দিয়ে যায়। শোবিজ তারকা-যাদের আমরা সব সময় মেকআপ-গেটআপ,ফ্যাশন,হাসি -আনন্দ,পার্টি আর হৈ হুল্লোর এর প্রতীক বলে জানি,যাদের জীবন আমাদের রঙ্গীন ও উচ্ছাসপূর্ণ মনে হয়, তাদের এমন কি কষ্ট থাকতে পারে যে তারা আত্মহত্যা করতে পারে??? কয়েক দিন যেন এই ভাবনা আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।আর সেই সাথে আত্মহত্যার কারন, হত্যা নাকি আত্মহত্যা,দায়ী কে এসব নিয়ে মিডিয়ার আলোচনা যেন আগুনে ঘি ঢেলে বেড়ায়।

তবে আমার প্রশ্ন হল -মিতা নুর ও জিয়া খান এদের মধ্যে বলিউড অনেক বিশাল ইন্ডাস্ট্রি হবার কারনে মিতা নুর থেকে অনেক বেশি মানুষ জিয়া খান কে চিনে।কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের গন্ডিতে কিন্তু জিয়া খান থেকে মিতা নুর অনেক বড় সেলিব্রিটি।দুই ভাবে মিতা নুর জিয়া খান থেকে বড়।এক-জিয়া খান মাত্র ৩ টা ছবি করেছে মাত্র কয়েক বছরে।তাকে অনেক মানুষ চিনেনা যারা অতটা হিন্দি ছবি দেখেনা। কিনতু মিতা নুর কিন্তু সেই ১৯৯০ থেকে তারকা হয়ে আসছে অসংখ্যা নাটক আর মডেলিং এর মাধ্যমে।কাজেই আমাদের দেশি দর্শকদরা মিতা নুর কে যেমন সব বয়সের অসংখ্য মানুশ চিনে,জিয়া খান কে তার অর্ধেক ও চিনেনা।

দুই-জিয়া খান কিন্তু একচুয়ালি “বি”গ্রেড তারকা।যদিও মাত্র তিনটা ছবি করে অনেক বড় তারকার বিপরীতে-কিন্তু আসলে সেটা তাকে বড় তারকা বানাবার মত না।ফার্স্ট ফিল্মএ বচ্চনের অপজিটে থাকলেও সেটা ছিল একটা অফ বিট ফপ ফিল্ম।আর বাকি দুইটার একটা গজনি তে আমির এর পাশে থাকলেও আসিন থাকায় তাকে কেউ খেয়াল ই করতে পারেনি। আর লাস্ট ফিল্ম “হাউজফুল” এ অয় এর সাথে যেই রোল প্লে করল তাতে তাকে সাইড নাইকাও বলা যায় না-একেবারে ক্যারেক্টার এক্ট্রেস হয়ে ছিল।সেই তুলনায় বাংলাদেশের শোবিজ এ মিতা নুর একদম প্রথম সারির স্টার।তার আগমনই টিভি জগতের গোল্ডেন এজ এ।তখন দেশে প্যাকেজ নাটকের আগমন হয়-বিজ্ঞাপণ জগতে বিপ্লব ঘটে।ভারতীয় চ্যানেল তখন কেবল ঢাকার হাই কাস সোসাইটিতেও ঢুকে সারতে পারেনি,চ্যানেল বলতে শুধু বিটিভি।বাংলাদেশের এমন কোন দর্শক নেই যারা সেই সময় টিভি দেখত বাট মিতা নুর কে চিনেনা আর নায়িকা হিসাবে মানেনা।সেই হিসাবে মিতা নুর আর জিয়া খান এর স্টারডমের কে তুলনা করা যায় শাবনুর াং নাসরিন,ঐশশ্রিয়া াংস্নেহা উল্লাল,বিপাশা বাসু াংরিয়া সেন এর সাথে।জিয়া খানের নিউজকে আউটনাম্বার করার জন্য কিছু পজিটিভ নিউজ ছাপাতে পারত মিতা নুরের ব্যাপারে যেমন-

১।মিতা নুরের সহকর্মীদের বক্তব্য।

২।মিতা নুরের আলোচিত যত নাটক।

৩।মিতা নুরের পুরানো সাাতকার বেজ করে তার পছন্দ অপছন্দ।

৪।মিতা নুরের বায়োগ্রাফি।

৫।মিতা নুর ও বাংলাদেশের অন্যান্য তারকা যারা সুইসাইড করেছেন(যেটা জিয়া খানের বেলায় ইন্ডীয়াতে অনেক চ্যানেলে দেখলাম-অল সুইসাইড হিস্ট্রী রিভাইজ)।

৬।মিতা নুরের ফ্যামিলি।

৭।মিতা নুরের চলমান ও অসমাপ্ত নাটক।

তার পর ও আমাদের দেশের এতবড় তারকাকে দেশি পত্রিকা এক টুকরা জায়গা না দিয়ে ভারতের এক নগন্য তারকা যে আত্মহত্যা ছাড়া কোন নিউজ তৈরী করতে পারেনি-তাকে নিয়ে একগাদা নিউজ দিয়েই যাচ্ছে। এটাকে আমরা কি বলব????