স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাজধানীর কাকরাইলে মা-ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গৃহকর্তা আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তাকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া তার তালাকপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্ত্রীকেও খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তাকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম।
করিমের তৃতীয় স্ত্রী মুক্তাকে আটক সম্পর্কে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনার নাবিদ কামাল বলেন, ‘আব্দুল করিম তিনটি বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর চার বছর আগে তিনি মুক্তাকে বিয়ে করেন। তিনি সিনেমার অভিনয় শিল্পী। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুক্তাকে আটক করা হয়েছে।’
করিমের তিন স্ত্রীই ঢাকায় থাকেন জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল বলেন, ‘আমরা তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকেও খুঁজছি। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
ঢ়যড়ঃড়-১৫০৯৫৫৮৫১২এর আগে বুধবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপরীত দিকের গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওনকে (১৯) গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ওই সময় ফ্ল্যাটে থাকা শামসুন্নাহারের গৃহকর্মী রাশিদার ভাষ্য, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি রান্নাঘরে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় কে বা কারা রান্নাঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। এসময় ঘর থেকে চিৎকারও শুনতে পান তিনি।
পরে ওই ভবনের দারোয়ান নোমান এসে রান্নাঘরের সিটকিনি খুলে দিলে বাইরে বের হয়ে হত্যার বিষয়টি দেখতে পান তিনি।
আর ভবনে দারোয়ান কাম তত্ত্বাবধায়ক নোমান বলছেন, ওপর থেকে একজন লোক নিচে এসে বলে, ‘ওপরে যান, সেখানে মারামারি লাগছে’। তখন তিনি উপরে উঠে পাঁচ তলার সিড়িতে শাওনের লাশ ও ভেতরে শামসুন্নাহারের লাশ দেখতে পান।