বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নতুন করে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হয়েছে মালয়েশিয়ায়। এটা শুরু হলেও সেখানে অন্তত ৫ লাখ বাংলাদেশি অবৈধ হয়ে পড়েছে। নিয়োগকারীরা তাদের কাজের মেয়াদ না বাড়ানোয় অথবা যারা বেড়াতে গিয়ে আর ফেরেননি তাদের এই দশা হয়েছে। তবে সেদেশে এখনো বাংলাদেশি শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানায় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
দুই দশকের ব্যবধানে কৃষি, শিল্প, অবকাঠামো সবদিকেই এগিয়ে গেছে মালয়েশিয়া। আর এর পেছনে কায়িক শ্রম দিয়ে বড় অবদান রাখছে বাংলাদেশী শ্রমিকরা। কিন্তু নানা জটিলতায় এখন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকরা আছে বেশ বেকায়দায়। নিয়ম অনুযায়ী বৈধ শ্রমিকদেরও বছর শেষে কার্যাদেশ নবায়ন করতে হয় নির্ধারিত ফিস দিয়ে, যার পরিমান বাংলাদেশি প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
আবার যারা কর্মস্থল পরিবর্তন করেছেন তাদের কার্যাদেশে নবায়নের ক্ষেত্রে যেতে হয় প্রথম নিয়োগকারীর কাছে। এইসব সময়মত হয়নি বলে অনেক শ্রমিক হয়ে পড়েছেন অবৈধ। অবৈধ শ্রমিকদের ফেরত আনা কিংবা সেখানে নিয়মিত করার কোনো উদ্যোগ দূতাবাস নিচ্ছে কিনা সেটাও দেখা দরকার।
অবৈধ বাংলাদেশী শ্রমিকদের তালিকা বানাচ্ছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এসব সমস্যা সমাধানে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী দূতাবাসের শ্রম বিভাগকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা। জিটুজি প্লাস পদ্ধতির বাইরেও প্রতিদিন টুরিষ্ট ভিসায় মালয়েশিয়া আসছে অনেক শ্রমিক। কিছু জটিলতার পরও মালয়েশিয়ায় এখনও বাংলাদেশি শ্রমিক রপ্তানির সম্ভবনা উজ্বল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।