রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > মালয়েশিয়ায় আড়াই বছর ধরে স্বামী, সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী

মালয়েশিয়ায় আড়াই বছর ধরে স্বামী, সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী

শেয়ার করুন

প্রতিবেশী তিন যুবকের ধর্ষণের শিকার এক প্রবাসীর স্ত্রী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৮ মে তিনি সন্তান প্রসব করেন।এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রেশমবাড়ি গ্রামে ওই নারী শিকার হয়। ধর্ষকদের অব্যাহত হুমকির ভয়ে ওই নারী এতদিন ঘটনা কাউকে জানাতে না পারায়

সন্তান জন্ম দেয়ার পর এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েছেন। ওই নারীর স্বামী গত আড়াই বছর ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রেশমবাড়ি গ্রামের ইউনুস আলীর সঙ্গে একই উপজেলার বাড়াবিল গ্রামের ওই নারীর ৯/১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তার ঘরে ছেলে আছে। ইউনুস জীবিকার প্রয়োজনে প্রায় আড়াই বছর হলো মালয়েশিয়ায় কর্মরত রয়েছেন। তার অনুপস্থিতির

সুযোগে প্রতিবেশী হাজী তয়জাল ফকিরের ছেলে লিটন মিয়া (২৩), মৃত আফসার প্রামাণিকের ছেলে ইয়াছিন (২৫) ও মৃত আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে স্বপন ফকির (২৫) গত বছরের ৩০ আগস্ট ওই নারীকে ঘর থেকে নৌকায় তুলে যমুনা নদীতে পালাক্রমে ধর্ষণ

করে।এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার ওই রাতেই বাড়ি পৌঁছে দেয় ধর্ষকরা। এ সময় ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য গৃহবধূকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় তারা। এর মাঝেও ধর্ষকরা ব্লাকমেইল করে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে তাকে। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীর পরিবার ও তার স্বামীর পরিবার থেকে ধর্ষকদের বিচার চাইলেও পরিবারটি কোনো বিচার পায়নি।এর

মাঝে বিচারের দাবি এবং বিয়ের দাবি নিয়ে ওই নারী প্রধান ধর্ষক লিটন মিয়ার বাড়িতে কয়েকবার অবস্থান করেছে। কিন্তু ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে মারধর করে বের করেছে দিয়েছে। এরপরও তিনি তার গর্ভধারণের বিষয়টি গোপন রেখেছেন। কিন্তু গর্ভাবস্থা যখন সবাই জেনে গেছে তখন তিনি ঘটনাটি ফাঁস করে দিয়েছেন।এলাকাবাসী জানায়, জোরপূর্বক ধর্ষণ বা হোক পরকীয়া ধর্ষণ যাই বলি না কেন ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে অবুঝ শিশুটির পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোনোভাবেই যেন বিষয়টি চাপা না পড়ে যায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। এরকম অনেক ঘটনা শুনতে পাওয়া যায়। এ ধরনের ঘটনায় এলাকার প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দিয়ে দেয়। এ ঘটনাটি যেন ধামাচাপা না দিতে পারে এবং প্রকৃত অপরাধিরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।রেশমবাড়ি গ্রামের সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বর আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মাসুম বাচ্চাটিতো পাপ করেনি। অভিযুক্ত ৩ ধর্ষকের সঙ্গে ডিএনএ টেস্ট করলে প্রকৃত বাবার পরিচয় পাওয়া যাবে। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, আমার কাছে অভিযোগ দিলে ডিএনএ টেস্টসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।