আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মার্কিন অভিবাসন আইনকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে নির্বোধ আইন’ বলে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছিলেন নিয়তির নির্মম পরিহাসে সেই আইনেই মার্কিন নাগরিকত্ব পেলেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের স্লোভেনিয়ান বাবা-মা ভিক্টর ও আমালিজা নাভস দম্পতি মার্কিন নাগরিক হিসেবে শপথ নেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
আইনজীবী জানান, ভিক্টর ও আমালিজা এতদিন পারিবারিক সূত্রে নিকটাত্মীয় হিসেবে ফার্স্ট লেডির গ্রিন কার্ডের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছিলেন। মার্কিন অভিবাসন আইন অনুসারে, পাঁচ বছর গ্রিন কার্ড ব্যবহার করার পর মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। সেসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই অবশেষে তাঁরা নাগরিকত্ব পেলেন।
অথচ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারটিকে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছিলেন। তাঁর মতে, পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে নয়, মেধাভিত্তিক প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত। কিন্তু শেষমেশ নিজের ঘরেই কিনা ওই পারিবারিক সূত্রে নাগরিকত্ব নেওয়ার ঘটনা ঘটলো! নিজের সমালোচনা বুমেরাং হয়ে ফিরে এলো নিজের ঘরেই।
সূত্র জানায়, ২০০১ সালে মেধাবী মডেল হিসেবে ‘আইনস্টাইন ভিসায়’ মেলানিয়া ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন এবং ২০০৬ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান। সেই সূত্রে মার্কিন নাগরিক মেলানিয়ার বাবা-মা হিসেবে সত্তরের কোঠায় থাকা ভিক্টর ও আমালিজা দম্পতি মার্কিন নাগরিকত্ব পেলেন।
ভিক্টর স্লোভেনিয়ার শহর সেভনিকায় গাড়ি বিক্রয়কর্মী এবং আমালিজা টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন বলে জানা যায়।