এম.আর করিম
উপজেলা প্রতিনিধি ॥
গফরগাঁও: মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছেন গফরগাঁও উপজেলার কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকেরা। উপজেলায় ৭০ টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৬০০ শিক্ষক এবং কর্মচারী।
২০১৯ সালে ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে করোনা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হওয়ার পর সারা বিশ্বে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ৮-ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগি সনাক্ত হয়। এ প্রেক্ষিতে সরকার ১৭- মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরবর্তীতে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন মেনে সবকিছু খুলে দেওয়া হলেও ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষকেরা।
জানা যায়, বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলো চলে শিক্ষার্থীদের থেকে প্রাপ্ত বেতনের মাধ্যমে। দীর্ঘ ৬ মাসের অধিক সময় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেতন তুলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। ফলে হতাশায় ভুগছেন শিক্ষক এবং কর্মচারীরা।
বিদ্যুৎ কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক সাগর মীর বলেন, প্রায় ৬ মাস যাবত বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বেতন পাচ্ছি না। ফলে ৬ সদস্যদের পরিবারের ভরণ-পোষণ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অংকুর বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক নয়ন মৃধা জানান, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রনোদনা দিলেও বঞ্চিত রয়েছে কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষকেরা। তারা না পারছে অন্যের কাছে সহযোগিতা চাইতে না পারছে পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সরকারি প্রণোদনাভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
গফরগাঁও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোফাখখারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারী উচ্চপদস্ত কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।