শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > মাধ্যমিক শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বড় উদ্যোগ

মাধ্যমিক শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বড় উদ্যোগ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

শিক্ষার পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়নে বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সারা দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩ হাজার স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। এজন্য সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এক প্রকল্পের অনুমোদন করা হয়েছে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পসহ মোট ১৪ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৪৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।

একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। এটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুন থেকে ২০২০ পর্যন্ত মেয়াদকালে বাস্তবায়িত হবে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য ভবন নির্মাণ এবং ৩০০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, এর মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বর্ধিত চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এর বাইরে উপস্থাপিত ১৪টি (নতুন ও সংশোধিত) প্রকল্পের মোট ব্যয় সরকারি অর্থায়ন থেকে করা হবে ১৬ হাজার ৩৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে ৯৫ কোটি টাকা।

একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- বন্যা প্রবণ ও নদীভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প, জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম প্রকল্প, বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩, বৃহত্তর ফরিদপুর চরাঞ্চন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কারখানা স্থাপন প্রকল্প, অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবারাহ প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, বগুড়া উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত চাপাপুরা-বগুড়া, নিমসার-বরুড়া এবং খাজুরিয়া-বরুড়া জেলা মহাসড়ক তিনটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরন প্রকল্প, সাতটি র‌্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তিপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প, অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রোডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্ক প্রকল্প, জরুরি ২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্প, এমারজেন্সি ২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন এবং প্রজেক্ট করডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধিত)।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগের সদস্য ড. শামসুল ইসলাম প্রমুখ।