শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > মাদকাসক্ত হলে ২৪ বার রক্ত দিতে পারতাম না: রাব্বানী

মাদকাসক্ত হলে ২৪ বার রক্ত দিতে পারতাম না: রাব্বানী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠেছে। কারও কারও বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগও উঠেছে।

অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাদকাসক্ত, মামলার আসামি, জামায়াত-শিবির কানেকশন, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপ, বিবাহিত ইত্যাদি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়ে নিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সময় চেয়ে নেন শোভন ও রাব্বানী।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধেও মাদক সেবনের অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রাব্বানী বলেন, আমি ২৪ বার রক্ত দিয়েছি। মাদকাসক্ত হলে রক্ত দিতে পারতাম না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে। আপনারা এসবের বিরুদ্ধে লিখুন।

তিনি বলেন, কমিটি ঘোষণার পর আমরা পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যাদের নামে অভিযোগ পেয়েছি, তাদের ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিচ্ছি। এর মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেতাতীতভাবে প্রমাণ হবে, তাদের অব্যাহতি দেয়া হবে। তাদের জায়গায় যারা ক্লিন ইমেজের রয়েছেন, যারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের স্থান দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা যদি নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে না পারেন, তা হলে পদগুলো খালি ঘোষণা করা হবে।

তা ছাড়া যাদের নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, শুধু তারা নয়; যারা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন ছাত্রলীগ সভাপতি।

ছাত্রলীগের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজ যারা করেছেন, তাদের বহিষ্কার করা হবে জানিয়ে সভাপতি শোভন বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর একটি মহল বিভিন্ন মাধ্যমে যে আক্রমণাত্মক ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, তা সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী। ক্ষোভ প্রকাশের জন্য দলীয় ফোরাম রয়েছে। যারা শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদেরও খুঁজে বের করে বহিষ্কার করা হবে।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের গঠনন্ত্রের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি সেটি মানার। কিন্তু তারপরও যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে যেমন বিবাহিত, অছাত্র, মুক্তিযুদ্ধেও চেতনাবিরোধীসহ গঠনতন্ত্রবিরোধী কোনো অভিযোগ থাকে তা হলে তাকে আমরা অব্যাহতি দেব। তারা কেউ আমাদের কমিটিতে থাকতে পারবে না।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।ওই বৈঠকে বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিতে বলেন কেন্দ্রীয় নেতারা।