শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > মাছের বিনিময়ে সেক্স!

মাছের বিনিময়ে সেক্স!

শেয়ার করুন

বাংলাভ’মি২৪ ডেস্ক॥ পশ্চিম কেনিয়ার ভিক্টোরিয়া হৃদের তীরে নোঙর করা মাছভর্তি অনেকগুলো নৌকা। জেলেরা মাছ বেচার জন্য সারি বেঁধে থাকা অপেক্ষমান ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করছে।

ক্রেতাদের অধিকাংশই নারী। যারা জেলেছের কাছ থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করে কিছুটা লাভ করে।

তবে কেনিয়ার এ অঞ্চলে জেলে ও নারী ক্রেতাদের মধ্যে মাছ কেনাবেচায় করতে সাধারণত টাকা লেনদেন হয় না। এখানে বিনিময় “সেক্স”।

নারী ক্রেতারা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কেনে। তার জন্য টাকা দিতে হয় না। দিতে হয় ‘নিজের দেহ’।

মাছ কেনাবেচার এই রীতিটি “সেক্স ফর ফিস” (মাছের বিনিময়ে যৌনতা) নামে পরিচিত। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘জাবোয়া’।

লুসি অধিয়াম্বো নামের (৩৫) বিধবা এবং পাঁচ সন্তানের জননী এক মাছ ক্রেতা বলেন, “ এখানে নারীদের হাত-পা বাঁধা।”

তিনি আরো বলেন, “সংসার চালানোর জন্য মাছ কিনতে আমাকে সেক্সে করতে হয়। কারণ আমার আর কোনো উপায় নেই।”

লুসি বলেন, “প্রতি সপ্তাহে আমাকে একজন অথবা দুজন জেলের সঙ্গে রাত্ কাটাতে হয়। এতে আমার এইডস হতে পারে কিন্তু আমার অন্য কোনো উপায় নেই।”

এই এলাকাটিতে এইডস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এখানে এইডস রুগীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ, যা জাতীয় গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ।”

এ সত্ত্বেও এখানে জাবোয়া বা মাছের বিনিময়ে সেক্স খুবই সাধারণ ব্যাপার।

জেলে ফেলিক্স অচিয়েং (২৬) বলেন, “আমি আমার পিতার কাছ থেকে এই জাবোয়া পেয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “আমি বিবাহিত, কিন্তু মাছের বিনিময়ে সপ্তাহে আমি তিন নারীর সঙ্গে রাত্ কাটায়।”

তিনি জানান, “ নারী ক্রেতারা মাছ কিনে ৫০০ কেনিয়ান শিলিং নগদ দেয় এবং বাকি ৫০০ শিলিং পরিশোধ করে দেহ দান করে।”

ফেলিক্স আরো বলেন, “ এটা আমি আমার পিতার কাছ থেকে শিখেছি। তিনিও এ কাজ করতেন। তবে আমি কনডম ব্যবহার করি।”

এ কাজে তিনি লজ্জিত কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি লজ্জিত। এটা একটা খারাপ কাজ।” কিন্তু অনেক নারী তাকে এ কাজে প্ররোচিত করে বলে দাবি করেন তিনি।” সূত্র: বিবিসি