বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নির্বাচনী ব্যবস্থা ও দেশের গণতন্ত্র নিয়ে মহাজোটের শরিক দলের কেউ কেউ এখন বিবেকের তাড়নায় সত্য প্রকাশ করে ফেলছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর মিডনাইট নির্বাচনের পর বাংলাদেশের দিকে সারাবিশ্বের নজর কাড়ছে এখন একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবিশ্বাস্য উত্থানে। ভোট ডাকতির নির্বাচনে তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও মাঝে মাঝে গণতান্ত্রিক পরিবেশের কথা বলে ফেলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, মহাজোটের শরিক দলের কোনো কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলছেন ‘নির্বাচনী ব্যবস্থাকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে এখন গণতান্ত্রিক কোনো স্পেস নেই, গণতান্ত্রিক স্পেস তৈরি করতে হবে। আগের রাতে ভোট দেয়ায়, প্রার্থীদের বাধা দেয়ায়, মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলায়, ঊর্ধ্ব মহলের ক্লিয়ারেন্স আছে কিনা প্রার্থীদের নিকট এমন প্রশ্নও করেছে পুলিশ, টাকা ছড়ানো হচ্ছে-এই হলো বর্তমান ভোটের অবস্থা, ভোটের প্রতি এখন মানুষের কোনো আগ্রহই নেই।’
রিজভী বলেন, এই বক্তব্যগুলো বিএনপি বা জোটের কোনো নেতার বক্তব্য নয়, এই বক্তব্য গতকাল জাতীয় সংসদের আওয়ামী জোটের একজন বড় নেতার বক্তব্য।
‘এখন প্রধানমন্ত্রী কি বলবেন? আমরা বারবার যে বলেছি- দুঃশাসনের কুয়াশা এসে ঢেকে দিয়েছে জনগণের শাসনকে-সেটি কি মিথ্যে? এখন আপনাদের ভেতর থেকেই কেউ কেউ বিবেকের তাড়নায় আসল সত্যটি প্রকাশ করে ফেলছেন।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি বন্দুকের শাসনে সমগ্র বাংলাদেশকে হতভাগাদের বসতি বানিয়েছেন। আপনার মতো নির্বাচনের স্টাইলগুলোকে এখন আন্তর্জাতিকভাবে বলা হচ্ছে- ‘নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদ’। অর্থাৎ জনগণকে ভোটাধিকারহীন, ত্যাজ্য ও বঞ্চিত করে যে নির্বাচন হয়, সেটিই নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদ।
‘আপনার সজ্ঞায়িত গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান এই নির্বাচনী কর্তৃত্ববাদকে আপনি সুচারুভাবে দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে আপনার এই নির্বাচনী স্টাইল দেশে ও বিদেশে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন আর বেশি দিন স্থায়ী হবে না। ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ অচিরেই সব অপকর্মের উপযুক্ত জবাব দেবেই। তাদের অধিকার তারা পূনরুদ্ধার করবেই।’