বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢকা : ভারতের কেন্ত্রীয় সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পাঁচ মাস পর আজ রোববার মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ন্যূনতম সরকার আর সর্বোচ্চ প্রশাসনে মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ১৬ সদস্যের ছোট মন্ত্রিসভা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ছোট আকারের মন্ত্রিসভা গঠন করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় মিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি। ফলে এক জন মন্ত্রীর হাতে একাধিক মন্ত্রণালয়েরর দায়িত্ব দিতে হয় তাঁকে। মন্ত্রীদের দায়িত্বের বোঝা কিছুটা হালকা করতে ন্যূনতম সরকারের পথ থেকে সরে এসে মন্ত্রিসভার বহর বাড়ালেন তিনি।
শপথ গ্রহণের আগে এ দিন সকালে তার ৭ রেসকোর্সের বাসভবনে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের জন্য চা-চক্রের আয়োজন করেন মোদি। দুপুর দেড়টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। সম্প্রসারিত এই নতুন মন্ত্রিসভায় ৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, তিনজন স্বাধীন দায়িতপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং ১৪ জন প্রতিমন্ত্রীসহ নতুন ২১ জন মন্ত্রী যুক্ত হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান ভারতের রাষ্ট্র্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১টা ৩৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রবেশ করেন। এর পরপরই জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রথমে পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মনোহর পারিক্কর। এরপর যথাক্রমে সুরেশ প্রভাকর প্রভু, জে পি নাড্ডা ও চৌধুরী বীরেন্দ্র সিংহ পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। এরপর স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বন্দারু দত্তাত্রেয়, রাজীব প্রতাপ রুডি ও মহেশ শর্মা। এরপর পরপর প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মুখতার আব্বাস নকভি, রামকৃপাল যাদব, হরিভাই চৌধুরী, সাওঁরলাল জাঠ, মোহন কুন্দরিয়া, গিরিরাজ সিংহ, হংসরাজ আহির, রামশঙ্কর কাঠেরিয়া, ওয়াই এস চৌধুরী, জয়ন্ত সিনহা, রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর, বাবুল সুপ্রিয়, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি ও বিজয় সাম্পলা।
কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন তা এখনো স্পষ্ট না হলেও মনোহর পারিক্করের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সুরেশ প্রভুর হাতে যেতে পারে রেলমন্ত্রণালয়। শিবসেনা-বিজেপির সম্পর্কের বরফ শেষ পর্যন্ত গলেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছে শিবসেনা। শপথগ্রহণে শিবসেনা নেতা অনিল দেশাই আসেননি। শিবসেনার পক্ষ থেকে তাকে জানিয়ে দেয়া হয় তিনি যেন মুম্বাই ফিরে যান। কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল অনিল দেশাইয়ের। এই বিষয়ে ঘোর আপত্তি করেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তিনি মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী চেয়েছিলেন।