আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন অভিশংসিত হলেন সে সময় তিনি মিশিগানে মেরি ক্রিসমাসের একটি সমাবেশে ছিলেন।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগের ক্ষেত্রে ভোটে তিনি হেরে গেছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো হলো, ট্রাম্প ক্ষমতা ব্যবহার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন। দ্বিতীয়টি হলো- অভিশংসনের তদন্ত কাজে সহায়তা করতে অস্বীকার করে ট্রাম্প কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।
এসব অভিযোগের ওপর ভিত্তি করেই নিম্নকক্ষে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিশংসনের পক্ষে ২৩০ ভোট পড়েছে এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৯৭টি ভোট। দ্বিতীয় অভিযোগে অভিশংসনের পক্ষে পড়েছে ২২৯টি ভোট এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৯৮টি ভোট।
দু’টি অভিযোগের ক্ষেত্রেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশি ভোট পড়েছে। ক্রিসমাস সমাবেশে ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, এটা সত্যি খুব মজার। তারা আমাকে অভিশংসিত করতে চেয়েছে। তারা এর চেয়েও খারাপ কিছু করতে চেয়েছে। তবে মনে হচ্ছে না যে, আমরা অভিশংসিত হচ্ছি। আমাদের দেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো করছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা কোনও ভুল করিনি। ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখার মাঝখানেই তার দলের একজন তাকে অভিশংসনের ভোটের বিষয়ে জানান। এরপরেই ডেমোক্রেট দলকে আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেন, এটা ঘৃণা এবং পাগলামীর কারণে হয়েছে। তিনি এই অভিশংসন প্রক্রিয়াকে ‘ররাজনৈতিক আত্মহনন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, আমরা মিশিগানের মানুষের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছি এবং তাদের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। অথচ ডেমোক্রেটরা হিংসা, ঘৃণা এবং ক্রোধ প্রকাশ করছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কি হচ্ছে। এই লোকগুলো (ডেমোক্রেট) পাগল। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, প্রতিনিধি পরিষদকে নিয়ন্ত্রণ করা ডেমোক্রেটরা কয়েক লাখ মার্কিনির ব্যালট বাতিলের চেষ্টা করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হলেন। এর আগে অভিশংসিত হওয়া বাকি দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন, অ্যান্ড্রু জনসন এবং বিল ক্লিনটন। তবে সিনেটে তাদের কাউকে সরিয়ে দেয়া হয়নি।
আগামী জানুয়ারিতে সিনেটের বিচার অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেখানে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় ট্রাম্পের অভিশংসিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে সিনেটে সব ধরনের অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেন ট্রাম্প।