স্টাফ রিপোর্টার ॥
প্রয়াত লেখক, কলামিস্ট বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী ছিলেন জ্ঞানচর্চাকারী পণ্ডিত ও দার্শনিক প্রবন্ধকার। জীবনের শেষ মূহূর্তেও তার জ্ঞান চর্চা অব্যাহত ছিল। গুণী এই কলামিস্টের লেখাগুলো সংগ্রহ করে প্রকাশনা করলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও তিনি সবাইকে আপন করে নিতেন।
বিশিষ্ট কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরীর স্মরণে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে আয়োজিত সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তার স্বজন, বন্ধু ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচররা। শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ‘তোপখানা রোডস্থ সুহৃদ বৃন্দ’ আয়োজন করে এই অনুষ্ঠানের।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী মানুষ ছিলেন। ১৯৬৯ সালে বখতিয়ার উদ্দীন বলেছিলেন, ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। হালের মার্কিন নির্বাচন নিয়েও তিনি অনেক দূরদর্শী লেখা লিখেছেন বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইনে।’
প্রয়াত এই গুণীজনের ভাতিজা, সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর বলেন, ‘লিখতে হলে, বলতে হলে সবার সঙ্গে মিশতে হয়। এ কারণে তিনি সবার সঙ্গে মিশতেন। তোপখানা রোডে প্রাণবন্ত আড্ডা দিতেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও তিনি সবাইকে আপন করে নিতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাজীবন যন্ত্রণা বা কষ্ট হলে আমি তার কাছে বলতাম, কিন্তু উনি আমার চোখের সামনেই মারা গেলে। আমার কষ্টের কথা আর উনাকে বলতে পারলাম না।’
প্রগতীশীল গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ উজ জামান বলেন, ‘তরুণদের তিনি বেশি বেশি পড়তে বলতেন। রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কিছু করার জন্য বারবার বলতেন। তিনি একজন মানবতাবাদী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের উন্নয়ন তার লেখায় সবসময় ফুটে উঠত।’
সাবকে ছাত্রনেতা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান, অ্যাডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।