শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > মজুরি বাড়াতে রাজি বিজিএমইএ

মজুরি বাড়াতে রাজি বিজিএমইএ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ৪ হাজার টাকা নির্ধারণে রাজি হয়েছেন পোশাকশিল্প মালিকরা। তবে এজন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে বিজিএমইএ। বিদ্যমান উেস কর দশমিক ৮ থেকে কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি রফতানির বিপরীতে অর্জিত ডলারের একটি স্বতন্ত্র বিনিময় হার নির্ধারণ এবং ব্যাংকঋণের সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার মতো সরকারের নীতি সহায়তা চেয়েছে সংগঠনটি।

জানা গেছে, গত শনিবার বিজিএমইএর মজুরিসংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সব সদস্য ঢাকায় না থাকায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে এর আগেই পূর্বের প্রস্তাবনাটি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনাও হয়েছে। সরকারের নীতিসহায়তা নিশ্চিত করেই মজুরি ২০ শতাংশের বেশি বাড়াতে রাজি হয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

মজুরিসংক্রান্ত কোর কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘২০১০ সালে যখন মজুরি বাড়ানো হয়, তখনো প্রধানমন্ত্রী নীতিসহায়তার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। পরে মজুরি ৩ হাজার টাকা বাড়ানোর বিষয়ে সব প একমত হয়। এবারো আমরা আগের জমা দেয়া প্রস্তাবনাটি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে একমত হয়েছি। এর বিপরীতে আমরা সরকারের নীতিসহায়তা দাবি করেছি। শিল্প সামর্থ্য রায় এ দাবি বিবেচনায় আনা প্রয়োজন।’

চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় তৈরি পোশাক খাতসহ রফতানি খাতের ওপর ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে উেস কর আরোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে ব্যবসায়ীদের চাপ ও বৈশ্বিক মন্দার পরিপ্রেেিত তা দশমিক ৮ শতাংশ ধার্য করা হয়।

পোশাকশিল্পের নিট খাতের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘মজুরি বাড়াতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে এেেত্র সরকারের নীতিসহায়তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। উেস করের েেত্র বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ দুই সংগঠনের প থেকেই দশমিক ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবি রয়েছে।’

সদ্যসমাপ্ত বাটেক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলামও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নীতিসহায়তা দাবি করেন। ওই অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য মাত্র দুই বছর তিন মাসের মাথায় আবারো মজুরি বোর্ড গঠন হয়েছে। আমরা আশা করি, বোর্ড অনতিবিলম্বে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করবে। তবে সরকারের কিছু নীতিসহায়তা এেেত্র প্রয়োজন।’

এদিকে নবগঠিত মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে আজকের বৈঠকে মালিকপরে নতুন মজুরি প্রস্তাব জমা দেয়া হবে না বলে বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে। যদিও শ্রমিক প্রতিনিধিরা আজকের বৈঠকেই বিজিএমইএর প থেকে নতুন মজুরি প্রস্তাব প্রত্যাশা করছেন।

জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি ও মজুরি বোর্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, ‘মালিকরা তাদের আগের প্রস্তাবনা থেকে সরে আসছেন, এমন আভাস আমরা পেয়েছি। আমরা চাই, আজকের বৈঠকেই নতুন প্রস্তাবনা জমা দেয়া হোক।’

গত ১৭ সেপ্টেম্বর মজুরি বোর্ডের পঞ্চম বৈঠকে ন্যূনতম মজুরি ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা করার প্রস্তাব দেয় মালিকপ। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি ওই বৈঠকে। পরে মজুরি কাঠামো পর্যালোচনায় ২৯ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া সফরে যান মজুরি বোর্ডের সদস্যরা। সফরে কম্বোডিয়ার শ্রম ও কারিগরি প্রশিণমন্ত্রী এবং ভিয়েতনামের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বোর্ডের সদস্যরা। বৈঠক হয় এসব দেশের শীর্ষ ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গেও।