শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ভয়াল স্মৃতির ২৯শে এপ্রিল আজ

ভয়াল স্মৃতির ২৯শে এপ্রিল আজ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ঢাকা: ১৯৯১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। রাতের অন্ধকারে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল উপকূলীয় এলাকা এবং নিহত হয়েছিল সোয়া লক্ষাধিক মানুষ ও গৃহহারা হয়েছিল হাজার হাজার পরিবার। দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে সেই দিন প্রত্যক্ষ করেছিল প্রকৃতির করুণ এই রুদ্ধশ্বাস। প্রাকৃতিক দুর্যোগের এত বড় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এদেশের মানুষ আর কখনও হয়নি।

সেই দিনের স্বজনহারা মানুষের কান্নায় এখনও ভারি হয় উপকূলের আকাশ-বাতাস। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলবাসীসহ বাংলাদেশের মানুষকে সেই ভয়াবহ স্মৃতি স্বজন হারানোর বেদনা আজও অশ্রু ভরাক্রান্ত করে তোলে। ইতিহাসের এই ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকার ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষসহ লাখ লাখ পশুপাখি, গরু-মহিষ, হাঁস-মুরগির করুণ মৃত্যু এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ ভেসে গিয়েছিল। ওই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হয় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী।

শুধু কুতুবদিয়া ও পেকুয়ায় সেদিন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল এবং কয়েকশ’ কোটি টাকার সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সাগর পাড় থেকে ৬ কিলোমিটারের মধ্যে এমন কোন ঘর কিংবা পরিবার ছিল না যে ঘর এবং পরিবারের একাধিক মানুষ সেদিন নিহত এবং হারিয়ে যায়নি। সেদিনের ঝড়ের ছোবল ও অথৈ পানিতে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছিল উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। সাগর বেষ্টিত কুতুবদিয়া, বাঁশখালী ও পেকুয়া উপকূলীয় এলাকা বেড়িবাঁধের অভাবে আজও অরক্ষিত।

উপকূলবাসীর জীবন-মরণ খ্যাত বেড়িবাঁধ অরক্ষিত হওয়ায় বর্তমানে উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। পেকুয়ার উপকূলীয় মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালীর ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ প্রতি বর্ষায় আরও একটি ২৯শে এপ্রিলের ছোবল আতঙ্কে রীতিমতো তটস্থ থাকেন। কুতুবদিয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মওসুম এলে এ দ্বীপের লক্ষাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। কারণ, কুতুবদিয়া উপজেলার চারপাশে সমুদ্র। এ উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়ন, উত্তর ধরুং, দক্ষিণ ধুরুং, আলী আকবর ডেইল, লেমশিখালী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে প্রায় লক্ষাধিক লোক বাস করে। বিপুল এ জনসংখ্যার অনুপাতে কুতুবদিয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় বছরের প্রায় ৬/৭ মাস বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে বসবাস করে এ দ্বীপের মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কুতুবদিয়ায় বর্তমানে যে সাইক্লোন শেল্টার আছে তা জনসংখ্যার তুলনায় খুবই কম। এ দ্বীপে জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র না থাকায় ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সলিল সমাধি হয়েছিল। ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ। সচেতন মহলের ধারণা, তখন যদি কুতুবদিয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সাইক্লোন শেল্টার থাকতো তাহলে বিপুল পরিমাণ মানুষের ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হতো না। স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট সংস্থার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের পর দেশী ও বিদেশী কিছু এনজিও’র অর্থায়নে কুতুবদিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কিছু সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৫৬১ সালের জলোচ্ছ্বাসেও কুতুবদিয়ায় বিপুল মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ১৭৬২ সালে, ১৭৯৫ সালের ৩রা জুন, ১৮৯৭ সালের ২৪শে অক্টোবরে, ১৯০৫ সালের ২৯শে এপ্রিলে, ১৯৬৩ সালের ২৭শে মে, ১৯৭২ সালের অক্টোবরে, ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে, ১৯৬৫ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়া দ্বীপের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সর্বশেষ ১৯৯১ সালের ২৯শে এপ্রিলের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়া খুদিয়ারটেক নামক একটি এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ দ্বীপ উপজেলায় এনজিও সংস্থা ইফাতের অর্থায়নে নির্মিত আশ্রয়ন কেন্দ্র আছে ১২টি, রেডক্রিসেন্টের ৪টি, ইইসির ২০টি, ব্র্যাকের ১৬টি, গণস্বাস্থ্যের ৬টি, এলসিইউটির ১টি, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ১টি, মুসলিম এইড ইউকের ১টি, বিশ্বব্যাংকের ৩টি, সৌদি অর্থায়নে নির্মিত ৩টি, প্রিজম বাংলাদেশের ৯টি সহ সব মিলিয়ে কুতুবদিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র আছে ৯১টি। উল্লেখিত আশ্রয়ণ কেন্দ্রের প্রতিটিতে দুর্যোগের সময় আশ্রয় নিতে পারে কমপক্ষে ২শ’ থেকে ৩শ‘ করে মানুষ। আর ৯১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। আর বাকিরা থাকেন জীবনের ঝুঁকিতে।

এখনও আতঙ্ক

নাসির উদ্দিন বাদল, নোয়াখালী থেকে: ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলীয় অঞ্চল হাতিয়া। দীর্ঘ ২৩ বছর অতিবাহিত হলেও আজও সেই দুর্বিষহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলের সাধারণ মানুষসহ ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের। আজ সেই ভয়াল ২৯শে এপ্রিল। ইতিহাসের পাতায় ভয়াল একটি দিন। রাতের অন্ধকারে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল উপকূলীয় এলাকা। এ দিন দেশের অন্যান্য এলাকার মতো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো হাতিয়া।

এ দ্বীপের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নিঝুম দ্বীপের প্রায় সব মানুষই ঝড়ে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছিলো। পুরো দ্বীপাঞ্চল ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছিলো। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল মহেষখালী, সন্দ্বীপ, কুতবদিয়া, বাঁশখালী ও কক্সবাজারেও হানা দিয়েছিলো ঘূর্ণিঝড়। এতে বিধ্বস্ত হয় পুরো উপকূলীয় অঞ্চল। যুদ্ধের পর একটা শহর যেমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তেমনি ২৯শে এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ের পর চট্টগ্রাম শহর ছিল ঠিক তাই। পথের পাশে পড়েছিল বিক্ষিপ্ত লাশ, রাস্তা জুড়ে ছিল উপড়ে পড়া গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, ঘর-বাড়িগুলো দুমড়ানো-মুচড়ানো, আর লাশের পচা গন্ধ থেকে থেকে বাতাসটাকে ভারী করে তুলছিল। মানুষ যত না ঝড়ে মারা গিয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি মরেছিল জলোচ্ছ্বাসে।

ভেলার মতো ভেসে গিয়েছিলো অগণিত মানুষ। সেই দিনে প্রিয়জন হারিয়ে আজও কাঁদছেন অনেক স্বজন। ২৫ থেকে ২৬ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ৪ থেকে ৫ মাইল অভ্যন্তরের প্রায় সব মানুষই নিহত হয়েছিল। যেখানে সেদিন বাতাসের বেগ ছিল সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার। এতে বিরান ভূমিতে পরিণত হয় দেশের ১৫ জেলার ২৫৭টি ইউনিয়ন। মানুষ তিনতলায় আশ্রয় নিয়েও পানির হাত থেকে বাঁচতে পারেনি। সেই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪২ জন। তবে বেসরকারি হিসাবে এর সংখ্যা আরও বেশি। মারা যায় ২০ লাখ গবাদিপশু। গৃহহারা হয় হাজার হাজার পরিবার। ক্ষতি হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ। উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি সেই রাতের দুঃসহ স্মৃতি। হাতিয়া উপকূলে আঘাত হানা ১৯৯১ ও ১৯৯৭ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বেড়িবাঁধের অবস্থা নড়বড়ে হলেও সংস্কার নেই দীর্ঘ এক যুগ ধরে। এই এলাকার জনগণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজে আসেনি। যার ফলে এলাকার জনগণের মাঝে এখনও হতাশা বিরাজ করছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এখন পর্যন্ত কোন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ার ফলে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপকূলীয় এলাকার জনগণ।

এখনও কাঁদছে চকরিয়া

বশির আল-মামুন, চকরিয়া থেকে : এখনও কাঁদছে চকরিয়া। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল চকরিয়াসহ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদ। ক্ষতবিক্ষত এ জনপদে বাঁচতে পারেনি মানুষজন, গবাদিপশু, পক্ষী, গাছপালা; ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, দালানকোঠা ইত্যাদি। জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় এদিনে। ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘ ২৩ বছর পার হয়ে গেলেও উপকূলের লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের ক্ষতি এখনও পুষিয়ে উঠতে পারেনি। এদিন চকরিয়া উপকূলীয় এলাকার বদরখালী, কোণাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, চরণদ্বীপ, রামপুর, বুড়িপুকুর, সওদাগরঘোনা, সাহারবিল সহ বেশ কয়টি ইউনিয়নের অসংখ্য বনি আদম নারী-পুরুষ ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে। পানির স্রোতে রাস্তাঘাট মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। ঘরবাড়ি ভেঙে চুরমার, গাছপালা ও ফসলাদির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছিল অন্য ইউনিয়নগুলোতে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল ওই এলাকার জনপদ।

কোথাও কোন জনমানবের বসবাসের চিহ্নও ছিল না। সমুদ্র উপকূলের বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। অসংখ্য প্রাণহানিসহ ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। ঘুরেফিরে সেই ভয়াল ২৯শে এপ্রিল আমাদের সামনে হাজির। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই ক্ষতি পুষিয়ে চকরিয়া উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ওঠেনি আড়াই লাখ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছুটে যেতে পারে না মানুষ। প্রতি বছর এপ্রিল মাস এলে উপকূলের হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে থাকে তখন তারা আবার প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়। বর্তমানে পুরো উপকূলীয় এলাকাই রয়ে গেছে অরক্ষিত। নেই বেঁড়িবাধ, নেই সাইক্লোন সেন্টার। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়স্থলে ছুটে যাওয়ার নেই কোন ব্যবস্থা। জানা গেছে, বর্তমানে চকরিয়া উপজেলার কোণাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী, চিরিংগা ইউনিয়নের রামপুর চরণদ্বীপ এলাকার ১০০ কিমি. বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বর্তমানে ঐ ভাঙা স্থান দিয়ে নিয়মিত সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঢুকছে আর বের হচ্ছে। এতে উপকূলীয় এলাকায় প্লাবিত হয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

অপরদিকে ২৯শে এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী চকরিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে যেসব সাইক্লোন সেন্টার স্থাপিত হয়েছিল বর্তমানে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সবগুলো অকেজো অবস্থায় রয়েছে। অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সৌদি অনুদান, কারিতাস সহ সরকারি ও বেসরকারি অনুদানে এসব সাইক্লোন সেন্টার নির্মিত হয়ে ছিল। বর্তমানে উপজেলার ঘূর্ণিঝড় প্রবণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন কোণাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, চিরিংগা, সওদাগরঘোনা, বুড়িপুকুর, চরণদ্বীপ, রামপুর এলাকার প্রায় ৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব কেন্দ্রে মানুষের বসবাস কিংবা আশ্রয় গ্রহণ নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাই অতিসত্বর এসব এলাকায় পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ ও উপকূলীয় অরক্ষিত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত করে আড়াই লাখ উপকূলবাসীকে ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন চকরিয়াবাসী।(মানবজমিন)