বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
বিক্ষিপ্ত সহিংসতা, সংঘর্ষ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোট বর্জনসহ বিভিন্ন অনিয়ম অভিযোগের মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা।
রোববার সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোট গ্রহণ।
এদিকে, বিভিন্ন জেলায় ভোট গ্রহণের আগের রাত থেকে ভোট চলাকালে নির্বাচনী সহিংসতায় এখনো পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে নোয়াখালীতে একজন আনসার সদস্য প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান ও আগে থেকে ব্যালট বাক্স ভরাট ও কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামসহ ৪৩ প্রার্থী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা আমিও শুনেছি। তবে নির্বাচন শেষ হলে বলা যাবে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে কিনা।’
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আই অ্যাম অলওয়েজ কনফিডেন্ট। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমার বিশ্বাস, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শক্তির জয় হবে। স্বাধীনতার পক্ষের জয় হবে। উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য নৌকা মার্কার ভোট দেবে। আমি জানি বাংলার জনগণ আমাদের বেছে নেবে। নৌকার জয় হবেই হবে।’
অপরদিকে ঠাকুরগাঁও-এ নিজে এলাকায় ভোট দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি এখানের ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। এই কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। কিন্তু আমি ইতোমধ্যে অভিযোগ পেয়েছি বেগুনবাড়ি এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে কেন্দ্র দখল করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
এছাড়া আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে এদিন দুপুরেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় একই অভিযোগে ভোট বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তবে জোটগতভাবে এ ব্যাপারে কোনো বিবৃতি আসেনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় ঐক্যফ্রন্ট সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানাবে।
উল্লেখ্য, দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৮৬১জন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৩৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৮ জন প্রার্থী।