শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ভোজ্যতেলের দাম কমাচ্ছে না করপোরেটরা

ভোজ্যতেলের দাম কমাচ্ছে না করপোরেটরা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশে খোলা বাজারে ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ৩-৪ টাকা। তবে এ খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্পাদিত বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বোতলজাত পণ্যে কেন প্রভাব পড়ছে না— এমন প্রশ্নের জবাবে সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বণিক বার্তাকে বলেন, বাজারে বোতলজাত যেসব সয়াবিন তেলের সরবরাহ রয়েছে, তা আগের কেনা। ওই তেল শেষ হওয়ার পর তারা নতুন দামে বাজারে ছাড়বেন। এক্ষেত্রে দাম কমতে একটু সময় লাগবে।

রাজধানীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল খোলা সয়াবিন প্রতি কেজি ৯৮-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে একই পরিমাণ তেলের দাম ছিল ১০১-১০৩ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলের দাম ১১০-১১২ থেকে কমে ১০৬-১০৮ টাকায় নেমেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, তিন-চার সপ্তাহ ধরে এক লিটার সয়াবিনের বোতল ১১৯-১২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (বিইওসিএল) মালিকানাধীন রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১২২ ও সিটি গ্রুপের তীর, মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ১১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া তীর, পুষ্টি ও ফ্রেশ কোম্পানির প্রতি ৮ লিটারের বোতলের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ৯৩৫ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৫৯০ ও দুই লিটারের বোতল ২২৮ টাকা। তবে রূপচাঁদা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে (প্রতি লিটার ৯৪০ গ্রাম) বিক্রি হয়। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় কেজিদরে (প্রতি কেজি ১০০০ গ্রাম)। বাজারে ৯৪০ গ্রামের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১১৯-১২২ টাকা। এ হিসাবে ১ কেজির দাম ১৩০ টাকার কাছাকাছি। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৬-১০৮ টাকায়। এ হিসাবে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের প্রতি কেজির দামে পার্থক্য ২২-২৪ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান জানান, কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের দাম না কমালে তারা কমাতে পারছেন না। বোতলজাত তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বোতলের গায়ে লেখা থাকে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত দামের বেশি বিক্রির সুযোগ নেই।

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানান, শীতকালে ঠাণ্ডায় পাম অয়েল জমে যাওয়ায় সয়াবিন তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। বছরের অন্যান্য সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা পামকে সুপার পাম ও সুপার পামকে সয়াবিন বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু শীতকালে এটি সম্ভব হয় না। এ সময় সয়াবিন তেলের চাহিদা বেশি থাকায় কোম্পানিগুলোও দাম কমাতে চায় না।

ইনডেক্স মুন্ডি ডটকম সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ডলারে। আগস্টে তা কমে ৯৪৪ ডলারে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরে দাম আরো কমে ৯৩৪ ডলার হয়। অক্টোবর ও নভেম্বরে প্রতি টন সয়াবিন তেল ৮৯৭ ও ডিসেম্বরে ৮৭২ ডলারে বিক্রি হয়। এ হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে দাম কমেছে টনপ্রতি ১২৮ ডলার।