স্টাফ রিপোর্টার ॥
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘আমি কিছুই শুনিনি। আমি জানতাম না। এ বিষয়ে কথা বলা বিপজ্জনক।’ শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে রাত এগারোটার দিকে ভাস্কর মৃণাল হক জানান, ‘শনিবার দিনেই সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ তাকে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ দেন।’এই প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এটা কিভাবে বলি। সমস্ত ব্যাপারটা শুরু হয়েছে হেফাজতের প্রতিবাদের পর থেকে। এখন কিভাবে বলা যাবে? আমার পক্ষে মন্তব্য করা তো বিপদজ্জনক।’
উল্লেখ্য, শনিবার রাত আটটা থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। রাত এগারোটার সময় মৃণাল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা আমি জানি না। এটা আমার বিষয় নয়। এটি সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার। সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করছেন রিমুভ করার, তারাই ঠিক করবেন কোথায় এটাকে রাখতে হবে।’বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে মাহবুবে আলমও জানিয়েছিলেন, ‘যে ভাস্কর্য সরানো হচ্ছে প্রধান বিচারপতির নির্দেশেই।’
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর ভাস্কর মৃণাল হকের নেতৃত্বে ১৩ জন কর্মীসহ মোট ২০ জন শ্রমিক ভাস্কর্যটির ভিত ভাঙার কাজ শুরু হয়। ভোর পাঁচটার পিকআপ ভ্যানে করে হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের ভেতর পানির পাম্পের পাশে ভাস্কর্যটি রাখা হয়।
শুক্রবার আলাপকালে মাহবুবে আলম জানান, ‘বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটায় প্রধান বিচারপতি ফুলকোর্ট মিটিং করেছেন। সেখানে জজরা ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে মত দিয়েছে। এর আগে দুপুরে আমিসহ সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে প্রধান বিচারপতি কথা বলেছেন। গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটিকে সরিয়ে ফেলাই ভালো। এমন স্থানে রাখা উচিৎ, যেন কোনও প্রশ্ন না ওঠে।