শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ভালবাসা অর্জনের উপায়

ভালবাসা অর্জনের উপায়

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ একজন সুন্দর মনের সুন্দর গুণের অধিকারী স্ত্রী সংসারকে তার নিজের আলোয় আলোকিত করে তুলতে পারে, সাজিয়ে তুলতে পারে সংসার জীবনকে সুখের স্বর্গীয় বাগানের মতো।যে স্ত্রী তার স্বামীকে যতটা ভালবাসা দেবে, প্রতিদানে ততটা বা তার বেশি ভালবাসাই পাবে।

নারী প্রথম সৃষ্টি হয়েছিল একজন স্ত্রী হিসাবে। একজন পুরুষের একাকিত্র দূর করার জন্য। তার পর এই নারীর পরিচয় হয়েছে মা হিসাবে। কৃষি বিজ্ঞানের মতে কৃষিকাজ শুরু হয়েছিল নারীদের হাত ধরে। পৃথিবীর প্রতিটি সুন্দরের সাথে নারী জড়িত। নারী পারে একটি বাসস্থানকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করে রাখতে। তাই আপনার ঘড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন, অন্তত আপনার স্বামী যতটুকু পরিচ্ছন্ন দেখতে পছন্দ করে।

স্বামীর ভালবাসা পাওয়ার কিছু টিপস্ঃ

-নারী সুলভ আচরণ (কোমল ব্যবহার) করুন, কেননা স্বামীরা তাদের স্ত্রীর জায়গায় কোন পুরুষ রূপী ব্যবহার চায় না।

-সুন্দর/আকর্ষণীও পোশাক পড়ুন। আপনার চুল সব সময় আঁচড়ে রাখুন। আপনি যদি গৃহিণী হন, সারাদিন ধরে রাতের পোশাক, ম্যাকসি(ঢিলাঢালা আরামদায়ক পোশাক) পরে থাকবেন না। নিজেকে আকর্ষণীও করে সাজান। ঘাম/মশলা জাতীয়গন্ধ থেকে পরিচ্ছন্ন ও সুরভিত থাকুন।

-আপনার স্বামী বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার সময় দরজায় এমন ভাবে ছুটে যান যেন আপনি তারই অপেক্ষায় ছিলেন। দরজা খোলার সাথে সাথেই হাসিমুখে কথা বলুন। ঘরে ঢোকার সাথে সাথেই সমস্যার কথা বলা শুরু করবেন না। তাকে কিছুটা মানসিক বিরতি দিন। গুরুত্বপুর্ণ কথা হলে আগে তার শরীর ম্যাসেস করুন। যদি ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে কথা বলা থেকে দূরে থাকুন। আপনার স্বামী ঠিক বুঝে যাবে আপনি কিছু বলতে চান। তাই ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে সে আপনাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবে। আর যদি না করে তাহলে চা বানিয়ে আপনি পাণ করুন এবং তাকে দিন। চা পাণের মাঝে মাঝে কথা বলুন। দেখবেন আপনার উদেশ্য সফল হয়েছে।

-আপানর শাশুড়ির সাথে ভাল আচরণ করুন, যেমনটি আপনি চান আপানার স্বামী আপানার মায়ের সাথে করুক। আপনার স্বামীকে কোন কথা বলার পর বার বার জিজ্ঞেস করবে না, ‘কি ভাবছ?’ অন্যের কাছে নিজেদের স্বামী-স্ত্রীর সমস্যার কথা বর্ণনা করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন; এমনকি সাহায্য বা পরামর্শ চাওয়ার অজুহাতেও না, আপনি যদি মনে করেন আপনার বৈবাহিক সমস্যার আইনানুগ সমাধান প্রয়োজন, তাহলে এমন ব্যক্তির কাছে যান যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ। যার মধ্যস্থতা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সুন্দর সমন্বয় আসে, অথবা উভয়পক্ষের সম্মতিতে সৌহার্দপূর্ণভাবে বিচ্ছেদ করাতে পারেন।

-আপনার স্বামীর এমন বিষয়ে প্রশংসা করুন যে বিষয়ে তিনি নিজে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন। আপনার প্রশংসা তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। কক্ষনো আপনার স্বামীর সাথে অন্যদের স্বামীর তুলনা করবেন না, বরং বলুন, স্বামী হিসেবে তুমিই শ্রেষ্ঠ, বিনয় এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে, অহংকার ও কর্কর ভাষায় নয়। কখনও বলবেন না,‘অমুকের স্বামী তো এমন করে না, তুমি কেন এমন কর..। আপনার স্বামী যেমন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। কারণ, কেউ নিখুঁত নয়, আপনিও নন। আর যদি, ত্রুটিহীন, নিখুঁত সঙ্গী চান তাহলে জান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তাহলে আপনি এবং আপনার স্বামী দু’জনেই হবেন নিখুঁত ও ত্রুটিহীন।

-আপনার স্বামীকে মাঝে মধ্যে কোন গৃহস্থালি কাজ দিন, কাজটি করে ফেললে তাকে ধন্যবাদ জানান। এতে সে আরও উৎসাহিত হবে। সে যখন কোন একঘেয়ে কথা বলে, তার কথা ধৈর্য ধরে শুনুন। মাঝে মাঝে তাকে প্রশ্নও করুন যাতে সে বুঝতে পারে আপনি তার কথা আগ্রহ নিয়ে শুনছেন। তাকে ভাল কাজে উৎসাহিত করুন। তার মেজাজ খারাপ থাকে, তাকে কিছুটা সময় একা থাকতে দিন। সে যদি আপানার সাথে রেগে গিয়ে চেঁচাতে থাকে, আপনি চুপ থেকে তাকে চেঁচাতে দিন। দেখবেন আপনাদের বিবাদ অনেক দ্রুত থেমে গেছে। পরে যখন সে শান্ত হবে, তখন আপনি আপনার কথা বোঝাবেন। যখন আপনি তার উপর রেগে যান, তখন বলবেন না যে তিনি আপনাকে রাগিয়েছেন, বরং বলুন তার কাজে আপনি আপসেট হয়েছেন।

-মনে রাখবেন, আপনার স্বামীরও আবেগ অনুভুতি আছে, কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। তাকে তার বন্ধুদের সাথে কোন রকম অপরাধবোধ ছাড়া কিছু সময় কাটাতে দিন, বিশেষতঃ যদি তারা ভাল মানুষ হয়। তাকে বাইরে যেতে উৎসাহ দিন যাতে সে নিজেকে ঘরের ভেতর ‘আবদ্ধ’ বোধ না করে।

-আপনার মনের কথা তাকে খুলে বলতে শিখুন; কেননা আপনার সব ইশারার কথা সে বুঝে নেবে বা অনুমান করতে পারবে এমন ভাবা ঠিক নয়। বুদ্ধিমত্তার সাথে আপনার সময়টাকে কাজে লাগান এবং আপনার দায়িত্ব সুন্দরভাবে সম্পাদন করুন। এতে আপনিও খুশি হবেন, আপনার স্বামীরও ভাল লাগবে।

-ছোট ছোট বিষয়ে রেগে যাবেন না বরং হাসি মশকরা করুন, যাতে আপনাদের দুই জনের মনই প্রফুল্ল হয়।

-স্বামী স্ত্রী একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ, করণীও-বর্জনীয় বিষয়গুলো বিজ্ঞতার সাথে আলোচনা করবেন। স্বামীকে এমন ভাবে আদেশ বা নির্দেশ দেবেন না যেন মনে হয় সে আপনার ‘অধীনস্ত’।

-আপনার স্বামীকে বারবার বলুন আপনি তাকে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন, ভালোবাসেনৃৃৃ.।

-আপনার স্বামীর সাথে খেলাধুলায় প্রতিযোগিতা করুন এবং তাকে জিততে দিন। সুস্থ থাকুন, এবং নিজের স্বাস্থ্যের যত্ম নিন, যাতে বলিষ্ঠ ভাবে একজন স্ত্রী, মা ও গৃহিণীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এতে আপনি মোটা হবেন না।

-আচার-আচরনে মার্জিত থাকুন (মনমরা থাকা, ঘ্যানঘ্যান করা, অতি উচ্চস্বরে হাসা বা কথা বলা, থপথপ করে সশব্দে হাঁটাচলা করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন)।

-স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাবেন না, আর তাকে না জানিয়ে তো অবশ্যই বের হবেন না। আপনার স্বামী আপনার জন্য কষ্ট করে কাজ করে উপার্জন করছেন এবং আপনার খাওয়া-পরার বন্দোবস্ত করছেন- এই ব্যপারটির সবসময় প্রশংসা করুন। এতে তার কাজের স্পৃহা বাড়বে। মাঝে মাঝে উপহার দিন। উপহার স্বরূপ তাকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও দিতে পারেন। তার আগ্রহ ও শখের ব্যপারে আপনিও আগ্রহী হওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত কেনাকাটা করবেন না। আয় ও ব্যয়ের সাথে সমঞ্জস্য রাখুন। অতিরিক্ত খরচ করা ঠিক নয়।

-আপনার ত্বকের যত্ম নিন, বিশেষতঃ চেহারার। চেহারাই আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। অন্তরঙ্গ ব্যপারে যদি আপনার কোন অসন্তুষ্টি থাকে, তাকে জানান, তার সাথে কথা বলুন। তাকে বুঝতে সাহায্য করুন। নীরব থেকে পরিস্থিতি খারাপ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।