শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে ভাসছে অন্তত দুশ জিনিস

ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে ভাসছে অন্তত দুশ জিনিস

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ যাত্রী বিমানটির ভাগ্যে কি ঘটেছে, সে সম্পর্কে সম্ভাব্য আরও কিছু প্রমাণ আজ পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ফ্রান্সের পর এখন থাইল্যান্ড বলছে তাদের স্যাটেলাইটে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অঞ্চলে অন্তত দু’শ জিনিস ভাসতে দেখা গেছে। খবর বিবিসি বাংলার।
ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে, ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নিখোঁজ বোয়িং বিমানটি খুব সম্ভবত ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমানটি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরেরই কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ধরে নেয়ার পর গত কদিন থেকে সব তৎপরতা চলছে মূলত ঐ অঞ্চলকে ঘিরেই।
ফরাসী স্যাটেলাইটের ছবিতে এর আগে ভারত মহাসাগরে ১২৩টি বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এখন থাইল্যান্ডের মহাকাশ সংস্থা বলছে, তাদের স্যাটেলাইটেও তারা মহাসাগরের ঐ অংশে প্রায় তিন’শ ভাসমান বস্তু দেখতে পাচ্ছে। থাইল্যান্ডের একটি সংবাদপত্র দ্য নেশন স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিও ছেপেছে।
তবে থাই মহাকাশ সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলছেন, এসব বস্তু নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমানের কিনা, সেটা তারা এখনো নিশ্চিত নন। স্যাটেলাইটে তোলা এসব ছবির সূত্র ধরে ঐ অঞ্চলে গত কদিন ধরেই জোর তল্লাশি অভিযান চলছে। তিনি আরো জানান, নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পাওয়ার জন্য সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, কারণ এটির ব্যাটারির আয়ু থাকে মাত্র ৩০ দিন। এ কারণেই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে উড়োজাহাজটির ব্ল্যাকবক্স খুঁজে বের করা।
চীন জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে আরও জাহাজ পাঠাচ্ছে নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র হোং লেই বলেছেন, নিখোঁজ বিমানটি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত তারা হাল ছাড়তে রাজী নন, তাদের তল্লাশি অভিযান চলবে। তিনি জানান, পাঁচটি চীনা জাহাজ ইতোমধ্যে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে পৌঁছেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান জাহাজ স্নো ড্রাগন।
এছাড়া চায়না ওশেন শিপিং কোম্পানীর একটি এবং চীনা নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ সেখানে আছে। এরপরও আরও তিনটি চীনা জাহাজ সেখানে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন, নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাকবক্স খুঁজে পাওয়ার জন্য সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, কারণ এটির ব্যাটারির আয়ু থাকে মাত্র ৩০ দিন।
মালয়েশিয়ার একজন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবাল আবদুল সামাদ জানিয়েছেন, এ কারণেই তাদের সামনে এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে উড়োজাহাজটির ব্ল্যাকবক্স খুঁজে বের করা। যে জাহাজে এই ব্ল্যাকবক্স খুঁজে বের করার যন্ত্রপাতি আছে, সেটিকে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে নেয়ার চেষ্টা করছেন।