বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ভারত ছাড়ছেন ওয়াসিম, শোয়েব আখতারও

ভারত ছাড়ছেন ওয়াসিম, শোয়েব আখতারও

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

ঢাকা: মুম্বাইতে শিবসেনাদের তাণ্ডবের রেশ কতদিনে ক্রিকেট থেকে মোছা যাবে, তা সহসাই বলা যাচ্ছে না। তবে সোমবার বিসিসিআই কার্যালয়ে শিবসেনাদের হামলার পর নিরাপত্তা শঙ্কা করে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দারকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আইসিসি। এবার, স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ভারতে থাকা ওয়াসিম আকরাম এবং শোয়েব আখতারও দেশে ফিরে যাচ্ছেন।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, মুম্বাইতে পঞ্চম ওয়ানডে ম্যাচের আগেই তারা দু’জন দেশে ফিরে যাবেন। তবে, তার আগে চেন্নাইতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে তারা দু’জন ধারাভাষ্য দেবেন বলে জানিয়েছেন ওয়াসিমের ম্যানেজার আরসালান হায়দার।

বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের আমন্ত্রনে পাকিস্তান সফর করছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান, সিইও নাজম শেঠি এবং চিফ অপারেটিং অফিসার সুবহান আহমেদ। সোমবার বিসিসিআই কার্যালয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু হঠাৎই শিবসেনার আক্রমণে সব ভণ্ডুল হয়ে যায়। উগ্রবাদী সংগঠনটির সন্ত্রাসীরা সরাসরি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তাদের তাণ্ডবে বিসিসিআই-পিসিবি নির্ধারিত আলোচনা পণ্ড হয়ে যায়।

এমন ঘটনার পর দ্রুতই নিরাপত্তাশঙ্কায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা পাকিস্তানি আলিম দারকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির সিদ্ধান্তের পর স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ওয়াসিম আকরাম এবং শোয়েব আখতারও ভারত ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিবসেনাদের তাণ্ডবের পরপরই বিসিসিআই সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আলিম দারের নিরাপত্তার বিষয়টা তারা কিভাবে দেখবেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘সৌরাষ্ট্রে প্রায় ৫০ হাজার দর্শক আসবে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে। ওখানে আসলে কেমন হুমকি হবে কিংবা নিরাপত্তা ঝুঁকির ধারানাটা কেমন হবে সেটা এই মুহূর্তে কোনভাবেই আন্দাজ করতে পারছি না।’

এরপর ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে অনুরাগ বলেন, ‘সামনে আমরা টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছি। তার আগে ভারতের সম্মান রক্ষার জন্য এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে বলে মনে করি। আমি মনে করি, খেলাটা খেলার মাঠে রাখাই ভালো। এর সঙ্গে রাজনীতি না মেশানোই উচিৎ।’