শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > আন্তর্জাতিক > ভারতে পেঁয়াজের পর লাগামহীন আলু

ভারতে পেঁয়াজের পর লাগামহীন আলু

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ভারতে পেঁয়াজের পর লাগামহীন হয়ে পড়েছে আলুর বাজারও। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই বেড়েছে আলুর দাম। রাজ্যে ২৪ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে জ্যোতি আলু। চন্দ্রমুখী আলুর দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। আগামী কয়েকদিনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

খবরে বলা হয়, আলুর জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে। অন্যান্য বছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই ‘পোখরাজ’ আলু বাজারে ভালো রকম চলে আসে। কিন্তু এ বছর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আলুর চাষ দেরিতে হয়েছে। ফলে নতুন আলুও বাজারে আসতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া পাঞ্জাব থেকে নতুন আলু রাজ্যের বাজারে না আসায় আলুর দাম বেড়েছে।

বাঁকুড়া জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এই মুহূর্তে চালু হিমঘরের সংখ্যা ৪৬। হিমঘরগুলোতে এবার মোট আলু মজুত ছিল ছয় লাখ ২৮ হাজার ৭২২ মেট্রিক টন। এখনও মজুত রয়েছে পুরোনো আলু। যা কমবেশি প্রায় ৪ শতাংশ। আলু মজুত করে রাখার সাধারণ সময়সীমা ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সরকারের তরফে সেই মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু সেই সময়কালের পরেও খালি হয়নি একাধিক স্টোর।

রাজ্যে আলুর দাম কমার উপক্রম নেই বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। হিমঘরে রাখার মেয়াদ শেষ হলেও পুরোনো আলু বাজারে তেমন আসছে না। কিছু আলু বাজারে এলেও তার জোগান যথেষ্ট নয়। এ পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের মতোই আলুর দামও চড়ছে।

পশ্চিমবঙ্গের খোলা বাজারে আলুর দাম বাড়ার অন্যতম কারণ প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশায় আলু রফতানি করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আলু আসত এ রাজ্যে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনও তা এসে পৌঁছায়নি। চাহিদা আর জোগানের ভারসাম্য না থাকায় আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী।

উল্লেখ্য, বন্যায় দেশটির বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হওয়ায় চলতি বছরে মৌসুমি পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়ায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। ফলে বাংলাদেশেও লাগামহীন হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার।

একপর্যায়ে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম যখন ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকায় তখন প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নীরবে সেঞ্চুরি করে ফেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যপণ্য।