আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
আজ বেলা ১০টায় ভারতের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। তবে তফাত হল, এবার আর লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে নয়, পুরনো সঙ্গী বিজেপির হাত ধরেছেন তিনি। শপথগ্রহণের ২ দিনের মধ্যে তাঁকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে হবে।
নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভায় উপ মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির সুশীল কুমার মোদী।
বিহারের রাজনীতিতে লালু-নীতীশ-বিজেপি সমীকরণ বহু পুরনো। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লালুর সঙ্গে সম্পর্কে মরচে ধরার পর নীতীশ বিজেপির সাহায্যে বিহারের মসনদে বসেন। কিন্তু ২০১৩-য় নরেন্দ্র মোদীকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরলে এনডিএ ছাড়েন নীতীশ। রাজনৈতিক মহল বলে, তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। তখন মোদীর বিরুদ্ধে নিয়মিত বিষোদগারও করতেন তিনি।
বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে কুর্সি থেকে দূরে রাখার বাধ্যবাধকতায় নীতীশ মরিয়া হয়ে লালুর হাত ধরেন। কিন্তু যে লালুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি এক সময় সরব হয়েছিলেন, জোটের স্বার্থে তাঁর সঙ্গে চলাটা তাঁর পক্ষে সহজ ছিল না। বিশেষ করে লালু যেভাবে দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপকে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মুখ করে তোলেন, তাতে প্রশ্ন ওঠে, নীতীশের বকলমে বিহারে সরকারটা লালুই চালাচ্ছেন কিনা।
কিন্তু পরিস্থিতি এখন বদলেছে। দেশটির নোট বাতিল থেকে জিএসটি, রাষ্ট্রপতি ভোট- সবেতেই মোদী সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন করেছেন নীতীশ। মোদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বরফ গলেছে। তাই কাল লালু পুত্র তেজস্বীর দুর্নীতির প্রশ্নে তিনি জেডিইউ ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে টুইট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে।