আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগে দপ্তরের দু’তলায় ২৪২ নম্বর কক্ষে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস দ্রুত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর টানা ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে দপ্তর। বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে।
জানা গেছে, রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন লাগলে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। এসময় মোট ১০টি ইউনিট ঘটোনাস্থলে ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘরটি একজন সেকশন অফিসারের বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা গুরমুখ সিং জানিয়েছেন, কম্পিউটারের ইউপিএস থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে সেটি ঘরের ভেতর ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০ টি ইউনিট উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৬ সালের মে মাসে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুলগাঁওতে সেনা অস্ত্রগারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৭ জন নিহত হয়েছিল। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে ২ জন সেনা কর্মকর্তা এবং ১৫ জওয়ান ছিল। গভীর রাতে নাগপুর শহর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে পুলগাঁও শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় সেনা অস্ত্রাগারের গুদাম ঘরে একাধিক বিস্ফোরণ হয়। এরপরই দাহ্যপদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অস্ত্রাগারের পাশে থাকা পাশের গ্রামগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের একটি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিল। ভোর ৪টার দিকে উত্তর প্রদেশের সাহিবাবাদ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
২০১২ সালের জুলাই মাসেও ভারতে এক ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে এতে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে চেন্নাইগামী তামিলনাড়ু এক্সপ্রেসের একটি কামরায় ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৮ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২৬ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ট্রেনটির এস-১১ কামরাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। ট্রেনের ভেতর টয়লেটের পাশে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ভোর সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার সময় যাত্রীদের সবাই ঘুমিয়ে ছিল। এ কারণেই ৪৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ কারণে ট্রেন থেকে বের হওয়ার সময় পায়নি অনেকেই।