বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রতিবেশী ভারতের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী বলেন, ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাস হওয়াতে আমরা বাংলাদেশে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের সামান্য কোনো ঘটনা ঘটলেই দেশ ত্যাগের প্রবণতা বাড়বে। সহজেই ভারতের নাগরিক হওয়া যাবে এই ধারণায় অধিকতর নিরাপত্তার আশায় ভারতে আশ্রয় নেয়ার সম্ভাবনা থাকবে, ফলে এক সময় এ দেশে হিন্দু সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কমে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে করার ফলে উভয় দেশের সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত এবং সংখ্যাগুরুদের মধ্যে দুঃখবোধের জন্ম হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। একই সাথে ভারতে বসবাসরত নাগরিকত্বহীন সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে এবং স্বাভাবিকভাবে আমার দেশে অনুপ্রবেশের প্রবণতা দেখা দেবে এবং ইতিমধ্যে কমবেশি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ত্যাগী ভারতে অবস্থানকারী হিন্দুদের লাভ হলেও এদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের লাভের সম্ভাবনা কম।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি প্রতিষ্ঠা হলে সে দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানরা এদেশে প্রবেশ করবে এবং এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সে দেশে যেতে পারে। যার কারণে একটি বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে এবং সে দেশের মুসলমানরা যখন এদেশে আসবে এই দেশের সব ক্ষেত্রেই সমস্যা সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলাম, আছি, থাকবো। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের সরকার অবৈধ। তার পরেও এসব বিষয় নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আমরা সব সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চাই, তাই ভারতের গণতন্ত্রকামী জনগণের পক্ষে আমরা সমর্থন জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকমল বড়ুয়া, সাবেক সচিব বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।